বীরভূমের বোলপুরে মঙ্গলবার ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড-শো। এই রোড শো-য়ের শেষে জামবুনি মোড়ে জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন বেলা ১টা নাগাদ বোলপুর লজের মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর চৌরাস্তা মোড় হয়ে বিশাল এই পদযাত্রা শেষ হয় জামবুনিতে। সেখানেই একটি ছোট মঞ্চে ভাষণও দেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর রোড-শো কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। উল্লেখ্য এই রাস্তাতেই দিন কয়েক আগে বিশাল রোড শো করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন সভায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে আগাগোড়াই ছিল বিরোধী বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে তোপ। পাশাপাশি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দলীয় বিধায়কদের প্রতি তাঁর মন্তব্য, ‘বিজেপি টাকা দিয়ে তৃণমূলের পচাধচা বিধায়কদের কিনছে। ওতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই’। পাশাপাশি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজ্যে আগমন নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘এখানে রাজনীতি করার আগে বাংলাকে জানতে হবে। কেউ কেউ তো রবি ঠাকুরের জন্মস্থানই বদলে দিচ্ছেন। গান্ধিজিকেই ওঁরা সম্মান করেন না। যাঁরা গান্ধিজিকে হত্যা করেছিলেন, তাঁরা ওঁদের নেতা’।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মমতার বক্তব্য, ‘বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে ঘৃণ্য রাজনীতি চলছে। ধর্মান্ধ রাজনীতি, দাঙ্গার আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে’। তিনি আরও বলেন, ‘যখন দেখি বিশ্বভারতীর গায়ে পাঁচিল গেঁথে দেওয়া হচ্ছে, তখন আমি ভালবাসি না। বরং বলি, বাঁধ ভেঙে দাও, বাঁধ ভেঙে দাও’। এদিনের সভা থেকে বহিরাগত ইস্যুতেও সুর চড়ান তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যে বর্গি আসছে। বর্গি হানার হাত থেকে বাংলা বাঁচান। এরপরই দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বহিরাগত পাড়ায় দেখলেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করবেন। পুলিশ অভিযোগ না নিলে আমাদের জানাবেন। তারপরই বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, এই মাটি সোনার বাংলা উপহার দিয়েছে। নতুন করে কারও সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখার দরকার নেই।
Post a Comment
Thank You for your important feedback