এক সপ্তাহ ধরে তৃণমূলে যে পরিমাণে ভাঙন ধরেছে তাতে দলের শক্তিবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা বাম নেতাদের। ২০১১ সালের ভোটের ক্রমাগতই রক্তক্ষরণ হয়েছিল সিপিএম সহ বাম দলগুলির। অনেকেই দল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন শাসক তৃণমূলে, আবার অনেকেই বসে গিয়েছিলেন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে মাত্র ২টি আসন পেয়েছিল বামেরা, ২০১৯ এ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু সুজন চক্রবর্তী সহ নেতারা মনে করেন তৃণমূলের শক্তি হ্রাস হওয়ার সুবিধা পাবে বামেরাই। তাঁদের যুক্তি, সংখ্যালঘু ভোট তাদের দিকে ফেরত আসবে এবং গত লোকসভায় যে ভোট বেরিয়ে গিয়েছিল তার বড়ো অংশ ফিরে আসবে।
সম্প্রতি কেরলের পুর পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং দিল্লির কৃষি আন্দোলনের সুফল বঙ্গবাম পেতেই পারে বলে ধারণা বামনেতাদের। কৃষি আন্দোলন প্রাথমিকভাবে রাজনীতিহীন হলেও ধীরে ধীরে লাল পতাকায় ভরে গিয়েছে। কলকাতার নেতাদের বক্তব্য, হান্নান মোল্লার নেতৃত্বে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে এর সুফল এ রাজ্যের কৃষকরা পাবেই। কাজেই আশায় বুক বাঁধছে বামেরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback