সুপার স্টারের ৫০ বছর


রাজেশ খান্না, এলাম দেখলাম জয় করলাম, কিন্তু ধরে রাখতে পারলাম না এমনই তাঁর জীবনে ঘটেছিল। ১৯৬৯ সালে আগমন হয়েছিল এক ঝাঁক প্রোডিউসারের হাত ধরে। ইউনাইটেড প্রোডাকশন, তাতে ছিলেন বোম্বের তাবড় তাবড় প্রযোজক পরিচালক। তাঁরা বলিউডে একটি নতুন মুখ খুঁজছিলেন। বহু মুখের মধ্যে খুঁজে নিয়েছিলেন যতীন খান্নাকে পরে নাম বদলে রাজেশ। ৬৯ সালে রিলিজ করল আরাধনা, ইত্তেফাক, খামোশি, বাহারো কি স্বপ্নে ইত্যাদি ছবি, সবগুলোই যে হিট করেছিল এমন নয়, কিন্তু ১৯৭০ জানাল বলিউডে প্রথম সুপার স্টার এসে গিয়েছেন যাঁর পেছনে টাকা ঢাললে দশগুণ ফিরে আসবে। রাজেশও তাঁর দর বাড়িয়ে দিলেন ১০ গুণ। তারপর দুশমন, আনন্দ থেকে হাতি মেরে সাথী সমস্ত ছবি ব্লক বাস্টার হিট।  ৫টি বছর চলতেই থাকল রাজেশের যাত্রা।

কিন্তু ১৯৭৫ থেকে ঔদ্ধত্য, বেহিসাবি চালচরণ, নানা বায়নাক্কা আর নিতে পারছিলেন না পরিচালরা। সকাল ৯ টাতে শুটিং থাকলে স্পটে আসতেন রাজেশ বিকেল ৩ টের সময়। ধীরে ধীরে কাজ কমতে শুরু করল। উঠে এলেন অমিতাভ বচ্চন। এরপর ভাঙলো সংসার, দুই কন্যাকে নিয়ে স্ত্রী ডিম্পল আলাদা হয়ে গেলেন। হতাশায় রাজেশ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন। তারপর ফের পরিচালক শক্তি সামন্ত তাঁকে আবার একবার সুযোগ দিলেন মেহেবুবা ছবিতে, ফের ছবি সুপার হিট কিন্তু আবার রাজেশ বেহিসাবি হয়ে গেলেন। তারপর যা হয় আর কি, মাঝে মধ্যে দু একটা ছবি তাও কোনওক্রমে চলল। রাজেশ কিন্তু আর ফিরলেন না। এক বিশাল প্রতিভার অপমৃত্যু ঘটল নিজের খামখেয়ালিপনায়। আজ তাঁর ৭৮ তম জন্মদিন পালন করছেন তাঁর অভিনেত্রী কন্যা টুইঙ্কল, ভাগ্যক্রমে আজ তাঁরও জন্মদিন। অশ্রুসজল চোখে টুইঙ্কল প্রতিবছর এই দিনে দুটি কেক কাটেন একটি নিজের অন্যটি তাঁর প্রিয় পাপার।                      


Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم