এক পাশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় অন্য পাশে
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। পাশে ছিলেন সাংসদ তথা বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য
সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর দ্বিতীয় রোড শো হল এভাবেই।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের টিটাগড় থেকে খড়দা থানা পর্যন্ত রোড-শো করলেন
শুভেন্দু। গোটা বিটি রোড জনসমুদ্রে পরিনত হয় এদিন। এরপরই খড়দা থানার সামনে
জনসভা করেন বিজেপি নেতারা। সভার শুরুতেই এদিন ব্যারাকপুর-খড়দা অঞ্চলের
মানুষদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ব্যারাকপুর, খড়দার রাস্তার ধারের কোনও
বাড়িতে কেউ ছিলেন না, সবাই পথে নেমে স্বাগত জানিয়েছেন আমাকে। তিনি
আরও বলেন, বিজেপি সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিয়েছে, আমিও এসেছি সেই ডাকে সারা
দিয়ে। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে শুভেন্দু ফের তোপ দাগেন।
কয়েকদিন আগেই অভিষেক ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে শুভেন্দুকে কটাক্ষ
করেছিলেন। এদিন তাঁর জবাব দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, তৃণমূলকে কোম্পানিতে
পরিনত করেছেন, আমরা ছিলাম সেই কোম্পানির কর্মচারী। মনীশ শুক্লা খুনের
প্রসঙ্গও তোলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, সেদিন টার্গেট ছিলেন অর্জুন সিং। তিনি
প্রাণে বাঁচলেও মণীশ খুন হন। এর জবাব ব্যারাকপুরের মানুষ দেবে। অর্জুন সিংকে ‘দাবাং’ নেতা বলে শুভেন্দু বলেন, অর্জুন সিং অনেক অত্যাচার
সহ্য করেছেন। তাঁর বাড়িতে পুলিশ গিয়ে তল্লাশি করছে, সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
সিজ করেছে। আত্মীয়দের গ্রেফতার করছে, তবুও লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে যাননি
অর্জুন সিং। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকদের কার্যত হুঁশিয়ারি
দিয়েই তিনি বলেন, সব হিসেব রেখে দিন, ২০২১-এর মে মাসের পর নিউটনের তৃতীয় ল
কার্যকর হবে। এদিন মিছিল শুরুর আগে মণীশ শুক্লার বাবার হাত নিজের মাথায়
ঠেকিয়ে আশির্বাদও চান শুভেন্দু। এদিনের ব্যারাকপুরে বিজেপির কর্মসূচিতে
ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনকি ভিড়ের চাপে এক সময় ব্যারিকেডও ভেঙে যায়।
Post a Comment
Thank You for your important feedback