এখনই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে নির্বাচন কমিশনে বঙ্গ বিজেপি


বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যে। এর আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। পাশাপাশি সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়ে হামলার ঘটনার পর কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত আরও চরমে উঠেছে। বিজেপি নেতাদের দাবি, বাংলার পরিস্থিতি কাশ্মীরের থেকেও খারাপ। তাই অবিলম্বে এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাক নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার দুপুরেই বিজেপি নেতৃত্ব দিল্লির নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই মর্মে চিঠি দিয়ে এলেন।

 
ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার রাজ্যে আসছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তার আগেই বিজেপি নেতৃত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে চাপ বাড়াল বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। বিজেপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন, রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত।

 

 বিজেপির মূল দাবি, ভুতুরে ভোটার খুঁজে বার করে ভোটার তালিকা অডিট করুক কমিশন। আর নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর থেকে বের হয়ে বিজেপি নেতাদের দাবি, কমিশন থেকে স্পষ্ট আশ্বাস মিলেছে। এছাড়া বিজেপির দাবি ছিল, এখনই রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি চালু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক বাংলায়। পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি ছিল, ভোটের কাজে তৃণমূলের সরকারি কর্মচারি সংগঠনের সদস্যদের ব্যবহার করা যাবে না। 


 


ভোটগ্রহণের কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে ভোটের ২৮ দিন আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। এরপরই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণবিধি বা মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট। এদিন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত দাবি করেন, ‘নির্বাচনী আইনেই রয়েছে ভোটের ৬ মাস আগে আর্দশ আচরণবিধি লাগু করা যায়। বাংলার পরিস্থিতির বিচারে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন। সীমান্ত এলাকায় ভোটার তালিকায় অনেক ভুয়ো ভোটার রয়েছে। তাই ভোটার তালিকা অবিলম্বে সংশোধন প্রয়োজন’। 

সব্যসাচী দত্ত আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি কাশ্মীরের চেয়েও খারাপ। জরুরি ভিত্তিতে বাংলায় মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হোক। সংবিধানের ১৫ তম ধারা অনুযায়ী’। সবমিলিয়ে বঙ্গ বিজেপি ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল। যাতে কমিশন আগেভাগেই সতর্ক হয় সেই ব্যাপারেও অনুরোধ করা হয়েছে কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post