দেশে বেকারত্ব বাড়ছে। আর্থিক বিশ্লেষক সংস্থা সিএমআইই জানাচ্ছে, গত জুনে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বেকারত্বের হার ছিল সবচেয়ে বেশি, দাঁড়িয়েছিল ১০.১৮%। কিন্তু তা কমতে শুরু করে নভেম্বরে হার দাঁড়িয়েছিল ৬.৫%। কিন্তু ডিসেম্বরে শেষ সপ্তাহ বাদ দিয়ে ফের তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৬% যা ছ'মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এবং চড়া মূল্যবৃদ্ধির সময়ে যা এক প্রবল ধাক্কা। সিএমআইই-র হিসাবে ডিসেম্বরে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৮৭ কোটি অথচ নভেম্বরে যা ছিল ২.৭৪ কোটি অর্থাৎ বেড়েছে ১,১৩ কোটি।
দেশে ফের আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক এই সময়ে কর্মসংস্থানের এই চিত্র দেখাচ্ছে সিএমআইই। তাদের এমডি-সিইও মহেশ ব্যাস বলেছেন, যখন বেকারত্বের হার বাড়ছে তখন দ্রব্যমূল্যের হার সমানতালে বাড়ছে। অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকার জানাচ্ছে যে সঙ্কটের মেঘ কাটছে। উদাহরণ হিসাবে করোনা সংক্রমণ কমার যুক্তি দিচ্ছে কেন্দ্র। তার সাথে তাদের যুক্তি, টিকা এসে যাওয়ার ফলে সমস্যা কমবে। কিন্তু মহেশ ব্যাসের যুক্তি সংক্রমণ কমলে বেকারদের কাজের দাবি বাড়বে, এতদিন লকডাউন সংক্রান্ত সমস্যায় বহু মানুষ কর্মহীন হয়েছে, ঘরে ঢুকে গিয়েছে অনেকেই আর সাথে শীতে ফলন কম হয় তাই, কৃষিক্ষেত্রে কাজ কমেছে। কিন্তু করোনার প্রভাব কমে গেলে পূর্ণমাত্রায় কর্মহীন এবং বেকার মানুষ কাজের দাবি করলে ভয়াবহ কর্মহীনতার সন্ধান পাওয়া যাবে।
Thank You for your important feedback