বামফ্রন্ট ও প্রদেশ কংগ্রেসের মধ্যে জোট নিয়ে জট অব্যাহত। এবার সমস্যা দেখা দিল মালদা জেলায়। জেলার ১২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দাবি ১০টি আসন। কিন্তু বাম শরিক দলগুলি সেটা মানতে নারাজ। মালদা জেলার বাম নেতাদের দাবি, তাঁদেরও শক্তি বেড়েছে জেলায়। তাই মাত্র দুটি আসন তাঁরা মেনে নিতে পারবেন না। এছাড়া মালতিপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুর আসন দুটি ছাড়তে নারাজ আরএসপি ও ফরওয়ার্ড ব্লক। সবমিলিয়ে জোট জটিলতা কমার লক্ষণ নেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে। ফলে এই জোট নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসকদল তৃণমূল ও আরেক বিরোধী দল বিজেপিও।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটেও জোট করেছিল বাম-কংগ্রেস। মালদা জেলার ৯টি আসনে প্রার্থী দিয়ে আটটিতে জিতেছিল কংগ্রেস। বাকি একটি আসন বৈষ্ণবনগরে কংগ্রেসকে হারিয়েছিল বিজেপি। অপরদিকে মালতিপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুর আসন দুটিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি, সেখানে প্রার্থী দিয়েছিল বাম শরিক দল আরএসপি ও ফরওয়ার্ড ব্লক। তবুও আসনদুটি জিতেছিল কংগ্রেস। অন্যদিকে, সেবার গাজোল এবং হবিবপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছিল সিপিএম। ইংরেজবাজারে জয় লাভ করেছিল জোট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী।
এই পরিস্থিতিতে ২০২১ বিধানসভায় জোট করা নিয়ে আলোচনায় বসেছিল মালদা জেলার বাম দলগুলি এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু বাম শরিক দলগুলির দাবি, বর্তমানে জেলার কয়েকটি আসনে তাঁদের ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে। গত লোকসভাতেও ফল ভালো হয়েছে, সেক্ষেত্রে আসন্ন বিধানসভায় সেই আসনগুলি তাদেরই ছাড়তে হবে। অপরদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, গত নির্বাচনে বামেদের জেতা আসন গাজোলে এবার প্রার্থী দেবে তাঁরা। আবার ফরওয়ার্ড ব্লকের দাবি, হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রার্থী দেবে তারাই। আর কংগ্রেস যদি প্রার্থী দেয় তবে মালদা জেলায় আরও কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিয়ে দেবে তাঁরা। যদিও জোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে মালদা জেলার বাম ও কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু এই জটিলতা কাটিয়ে নিষ্কন্টক জোট করা যথেষ্টই কঠিন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback