গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে দ্রুত তদন্তের জাল গোটাচ্ছে সিবিআই। মঙ্গলবার গরু পাচারকাণ্ডে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন বিএসএফ-এর ডেপুটি কমানড্যান্ট মহেন্দ্র সিং রাওয়াত। তাঁকে জেরা করে আরও বেশ কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবারই গরু পাচারকাণ্ডে কমান্ড্যান্ট অমৃক সিংকে জেরা করে সিবিআই। দফায় দফায় তাঁকে জেরা করা হয়। ২০১৫-২০১৭ সাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের দায়িত্বে ছিলেন অমৃক সিং। ধৃত বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার ও শুল্ক দফতরের এক আধিকারিককে জেরা করে তাঁর নাম উঠে আসে। অমৃক সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেড়িয়ে আসে ডেপুটি কমান্ড্যান্ট মহেন্দ্র সিং রাওয়াতের নাম। এরপরই গরুপাচার কাণ্ডে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখতে মহেন্দ্র সিং রাওয়াতকে তলব করে সিবিআই।
ইতিমধ্যেই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নাম উঠে এসেছে বহু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা সহ সরকারি সংস্থার অধিকারিকদের। এই শিকড় ঠিক কতদূর ছড়িয়েছে, তা জানতে রাজ্য জুড়ে একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানাও দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের দাবি, কয়লা পাচারচক্রের অভিযুক্ত লালা ও গরুপাচারে অভিযুক্ত এনামুল হকের বাড়ি থেকে বহু নথি পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের বহু থানার অফিসার-ইনচার্জেরও যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে তাতে। কয়লা পাচারকাণ্ডে ইসিএল ও রেলের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আসানসোল ডিভিশনে পণ্য সরবরাহের দায়িত্বে যে সমস্ত আধিকারিক ছিলেন, তাঁদের তালিকাও তৈরি করছে সিবিআই।
Post a Comment
Thank You for your important feedback