র্পরিবর্তনের নাম প্রিয়দর্শন

যুগ যুগ ধরে হিন্দি সিনেমায় গল্পের পরিবর্তন হয়েছে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে। তবে পঞ্চাশের দশক থেকে হিন্দি ছবি মানেই অনেক গান নাচ এবং মারামারি, শেষে নায়ক নায়িকার মিলন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই ফর্মুলা। এর পরিবর্তন এল অমিতাভ বচ্চনের আগমনে। তখন নায়ক মানে শুধু রোমান্টিক নয় বরং নেগেটিভ অন্যায়ের বিরুদ্ধে নায়কের হাতে খুন প্রয়োজনে নায়কের মৃত্যুও। এই ফর্মুলা চলল, নায়ক পরিবর্তন হয়ে শাহরুখ, সলমনরা এলেন। কিন্তু গল্পের বুনোট ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ওই একই, কেবল বিদেশের ভরা শুটিং রাখতে হবে। ২০০০ এর পর আগমন কেরলের পরিচালক প্রিয়দর্শন সোমান নায়ারের, সংক্ষেপে প্রিয়দর্শন।

প্রিয়দর্শন যে একেবারে হিন্দি ছবির তথাকথিত প্রভাব থেকে বেরিয়ে এলেন এমন নয় কিন্তু খোলনলচে বদলে দিলেন। সিরিও কমেডি নিয়ে এলেন ছবিতে। প্রচুর চরিত্রের সম্মেলন ঘটালেন তাঁর সিনেমায়, ঠিক নায়ক বা নায়িকাকেন্দ্রিক ছবি নয় বরং পার্শ্ব চরিত্ররা সুযোগ পেলেন অনেকটাই। তাঁর কিছু পছন্দের শিল্পীদের সুযোগ দিলেন বারবার। যথা অক্ষয়কুমার, সুনীল শেট্টি, আসরানি, শক্তি কাপুর এবং অবশ্যই পরেশ রাওয়াল। ছবিও হিট করল 'হেরা ফেরি', হাঙ্গামা, ভুলভুলাইয়া। প্রিয়দর্শনের ছবিতে কাজ পেলে বর্তে যান শিল্পীরা। শনিবার প্রিয়দর্শন ৬৪ বছরে পড়লেন।                         

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post