অসুস্থ শিক্ষকদের চিকিৎসায় গাফিলতি, দাবিতে অনড় মাদ্রাসার শিক্ষকরা

১৩ দিনে পড়ল মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিক্ষোভ অবস্থান। এদিকে অনশনের জেরে ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ২ জন শিক্ষিকা ও ১ জন শিক্ষক। কিন্তু অসুস্থ শিক্ষকদের সঠিক চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগে সরব হলেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। ন্যূনতম বেতন কাঠামো ও পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদার দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। বিকাশভবন থেকে একটু দূরেই এই বিক্ষোভে বসেছেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ়ড আনএডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্যরা। ওই মঞ্চেই পাশাপাশি অনশনে বসেছেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। তাঁদের হুঁশিয়ারি, এই বঞ্চনার ফল ভুগতে হতে পারে শাসকদলকে।  

এদিকে ৩ জন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু তাঁদের সঠিক  পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের অভিযোগ, প্রায় দুই তিনদিন ধরে কোনও চিকিৎসক অসুস্থদের দেখতে আসেননি। শুধু নার্স গিয়ে স্যালাইন দিচ্ছেন। হাসপাতালের সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। অথচ বারবার বললেও কর্ণপাত করেননি কেউ। অনশনরত এক শিক্ষকের দাবি, অসুস্থ ২ শিক্ষিকার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তাঁরা ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না, অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। সঠিক চিকিৎসার দাবি করলে রীতিমত হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এমনকি গত ২১ জানুয়ারি আব্বাস সিদ্দিকি তাঁদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে গেলে তাঁর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয় বলে দাবি। এই ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একদিকে বেতন না পাওয়ার বঞ্চনা অন্যদিকে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভরত মাদ্রাসার শিক্ষকরা।  আন্দোলনকারীরা জানান, মঞ্চের একদিক খোলা থাকায় রাতে ঠান্ডা হাওয়ার ঢুকছে। সঙ্গে রয়েছে মশার কামড়। কিন্তু দাবি পূরণ না হলে আমরা অনশন ভাঙব না। তাতে যদি মৃত্যু হয় তাতেও পিছু হটবেন না তাঁরা। প্রয়োজনে অনশনকারীদের জন্য স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করার ফল ভুগতে হতে পারে শাসকদলকে। 

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم