যাঁরা যেতে চাইছেন, তাড়াতাড়ি চলে যান, ট্রেন ছেড়ে
দেবে। যাঁরা লাইন দিয়ে আছেন, তাঁরা ওঁদের পায়ে গিয়ে পড়ুন। ভোটের পর যাঁরা
আসতে চাইবেন, তাঁদের আমরা নেব না, যারা যেতে চায়, তাড়াতাড়ি ল্যাজ গুটিয়ে
পালাও। দলের টিকিট পাবেন না বুঝেই তাঁরা দল ছাড়ছেন। সোমবার হুগলি
পুরশুড়ার জনসভায় এই ভাষাতেই দলত্যাগীদের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, এতদিন দলে থেকে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। দল
যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। দলবিরোধী কাজ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তাঁর
কথায়, বিজেপি একটা ওয়াশিং মেশিন। চোরগুলো বিজেপিতে গিয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে।
অনেক টাকা করেছে, কালো টাকাকে সাদা টাকা করতে বিজেপিতে যাচ্ছে অনেকে।
এদিনের
সভায় তাঁর ভাষণের লক্ষ্য ছিলেন দলের বুথকর্মী এবং বিশেষ করে মহিলারা।
শুরুতেই তিনি দলের বুথকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তাঁরাই ভোটের কাজ করেন।
তাঁরাই দলের সম্পদ। সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। মমতা বলেন,
বাংলার মেয়েদের ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। মহিলাদের উদ্দেশে তিনি বলেন,
হাতা খুন্তি নিয়ে রান্না করে দেবেন বিজেপিকে, আমি চাই মা বোনেরা সামনে
থাকুন। বিজেপির কোনও ভিডিও বিশ্বাস করবেন না। ফেক ভিডিও তৈরি করে। ওদের
বিশ্বাস করবেন না। বিজেপি পার্টি টাই ফেক। তাঁর কথায়, বাংলাকে গুজরাত
বানাতে দেব না। বহিরাগতদের ঢুকতে দেব না।
তিনি বলেন, নেতাজিকে নিয়ে
অনুষ্ঠানে নেতাজিকেই অপমান করেছে। তাঁকে কিছু ধর্মান্ধ টিজ করেছে। বিজেপি
ভোটে জিততে টাকা দিলে টাকা নিয়ে মাংস-ভাত খান। ভোটের বাক্সে গিয়ে ভোটটা
উল্টে দিন। তিনি বলেন, বিজেপি বর্ধমানে নিজেদের পার্টি অফিসে আগুন
জ্বালাচ্ছে, ব্যারাকপুরেও গণ্ডগোল পাকাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। সেইসঙ্গে
জানিয়ে দেন, বাইরের গুন্ডাদের আমরা ঢুকতে দেব না।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর
জনসভার মঞ্চে ইন্টারনেট বিভ্রাট ঘটে। ইন্টারনেট সংযোগ আচমকা বিচ্ছিন্ন
হওয়ায় সেখান থেকেই সার্ভিস প্রোভাইডারকে ফোন করে তিরস্কার করেন তিনি।
Post a Comment
Thank You for your important feedback