আজ নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর সঙ্গে দিলীপ-মুকুল-কৈলাশ?

আর কয়েকমাস পরই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। আর বাংলার মসনদ দখলের লড়াইয়ে শুভেন্দু অধিকারীই যে তুরুপের তাস সেটা বলাই বাহুল্য। তৃণমূল কংগ্রেসের এই যুব নেতা সংগঠনিক দিক থেকে যথেষ্ঠ তুখোর। আর তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েই একের পর এক সভা, র‍্যালি করে শাসকদলের রাতের ঘুম ছুটিয়েছেন। শুক্রবারও জনসভা করছেন নিজের খাসতালুক নন্দীগ্রামে। 

বিজেপির যোগদান মেলায় নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর সঙ্গেই উপস্থিত থাকতে পারেন মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। উপস্থিত থাকছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। ফলে বড় মাপের এই কর্মসূচিতে বড় মাপের জমায়েত করিয়ে নিজের শক্তি দেখিয়ে দিতে চাইছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যিনি আগেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন এই কর্মসূচিতে প্রায় এক লাখ মানুষের সমাগম করবেন। 

উল্লেখ্য, এই মাঠেই গত ৭ তারিখ সভা করার কথা ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতা অখিল গিরি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ওই সভা পিছিয়ে যায়। তৃণমূলের তরফে পরে জানানো হয় ওই সভা হবে আগামী ১৮ জানুয়ারি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন মমতার ৭ জানুয়ারি সভার পরদিনই তিনি নন্দীগ্রামে সভা করবেন। সেইমতো আজ শুক্রবার সভা করছেন শুভেন্দু। ফলে শক্তিপরীক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর আগেই অবতীর্ণ হতে হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীকে। আর এই সভায় একই মঞ্চে থাকতে পারেন বঙ্গ বিজেপির তিন শীর্ষ নেতা। এদিন সকালেই কাঁথির বাড়ি থেকে সভাস্থলে চলে আসেন শুভেন্দু। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে সিএন নিউজের ক্যামেরায় তিনি বলেন, আজ নন্দীগ্রামে যোগদান মেলা ও সভা হবে। প্রয়োজনে আবার সভা হবে এখানে। তৃণমূল বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। এটা আমরা হতে দেব না। তাই পাল্টা সভা করব সব জায়গায়। এবারের ভোটেই ওরা (তৃণমূল) জবাব পেয়ে যাবে, এখন লাফাতে দিন। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post