মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সার! স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরাল নার্সিংহোম, সঙ্কটে নাবালক

মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও ফের রোগী প্রত্যাখ্যান। এবার খাস কলকতার বুকে অসুস্থ কিশোরকে ফিরিয়ে দিল বেসরকারি নার্সিংহোম। পরিবারের অভিযোগ, কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে গেলে তাঁদের বলে দেওয়া হয় টাকা ছাড়া চিকিৎসা হবে না। তাঁদের দাবি, এর আগে অসুস্থ কিশোরকে নিয়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ঘুরলেও সকলেই রেফার করে দায় এড়ায়। দিনভর চরম হেনস্থার শিকার রোগীর পরিবার। শেষপর্যন্ত এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয় তাকে। কিশোরের অবস্থা যথেষ্ট সঙ্কটজনক। 

জানা যায়, রবিবার সকাল ৮ টা নাগাদ নামখানায় একটি টোটো দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়  বছর ১৬-এর অতনু শিট। তার কিডনিতে আঘাত লাগায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরিকাঠামো না থাকায় তাকে ডায়মণ্ডহারবার সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়া হলেও বেড নেই বলে পাঠানো হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও ভর্তি না নেওয়ায় শেষপর্যন্ত ওই কিশোরকে একবালপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়। 

রেফার যন্ত্রণা তো ছিলই, এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড  নিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয় রোগীর পরিবারকে। ভতি করা হলেও বলা হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেওয়া হবে না। দিতে হবে নগদ টাকা। কিন্তু হাসপাতালের এত টাকার বিল মেটানো অসম্ভব ওই দুঃস্থ পরিবারের পক্ষে। এদিকে রোগীর অবস্থা ক্রমশ অবনতি হতে থাকায় শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত ট্রমা কেয়ারে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে আহত কিশোরকে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকেও পরিষেবা না পেয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ আহত নাবালকের পরিজনরা। এই ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দিলেও আদতে কোনও কাজ হচ্ছে না। বারবার কার্ড নিয়ে হেনস্থা হতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। পাশাপাশি ফের উঠল রেফার বিতর্কও। এই ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বেহাল দশা। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post