'ধৈর্য্য ধরে আছি', জল্পনা রয়েই গেল রাজীবকে নিয়ে

'এখনও ধৈর্য্য ধরে আছি, ধৈর্য্যচ্যুত হইনি। সাধারণ কর্মী হয়েই মানুষের জন্য উন্নয়ন করতে চাই।' শনিবার সোশাল মিডিয়ায় জনতার দরবারে দলবদলের কথা স্পষ্ট করে না বললেও বিজেপি যোগের জল্পনা জিইয়ে রাখলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়।   
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে একধিকবার বৈঠকের পরেও 'বেসুরো' রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে চিন্তা রয়েছে শাসকদলের অন্দরে। শুভেন্দু অধিকারীর মতো তিনিও বিজেপির পথে কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা ছিল রাজনৈতিক মহলে। এদিনের ফেসবুক লাইভেই তাঁর মনোভাব স্পষ্ট করে দিতে পারেন বলে কানাঘুষো ছিল। তবে আপাতত সেই আশায় পুরোপুরি জল না ঢাললেও মুখ খুললেন না হাওড়া জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর।
এদিন নিজের বক্তব্যের প্রথম থেকেই যুব সমাজের উন্নয়ন নিয়ে সুর চড়িয়েছেন রাজীব বন্দোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বাংলায় যে মেধা, সম্পদ আছে না অন্য কোনও রাজ্যে নেই। আত্মনির্ভর হয়ে পরিবারকে দিশা দেখানোই যুব সমাজের কাজ। অথচ যুব সমাজ পিছিয়ে পড়ছে। চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন অথবা কখনও ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। যুবসমাজ যেন কখনই লক্ষ্যভ্রষ্ট না হয়। শিল্প আনলেই কাজের দিশা পাবে যুবরা। নাম না করে কার্যত তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধেই তোপ দাগেন রাজীব।
বিগত কয়েকদিন ধরে দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বনমন্ত্রী। যদিও কারও নাম নেননি। এদিন রাজীব বন্দোপাধ্যায় ফের বলেন, দলের কর্মীরা যোগ্য মর্যাদা পান না। কিন্তু কর্মীরাই দলের সম্পদ। যতদিন বেঁচে থাকব মানুষের জন্যই কাজ করব। যখনই স্বাধীনভাবে সম্মানের সঙ্গে  মানুষের জন্য কোনও ভাল কাজ করতে চেয়েছি বা নিজের কথা বলতে চেয়েছি গুটি কয়েকজন অপব্যাখ্যা করেছেন। গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা। আমি নিজে ঠকব, কিন্তু মানুষকে ঠকাব না। তাঁর আগের কথার রেশ ধরেই রাজীব জানান, স্পষ্ট কোথায় কষ্ট নেই।  নিষ্ঠার সঙ্গে দলের কাজ করে এসেছি। ভোটের আগে নয় নাটক করে না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বহুদিন আগে থেকেই আমি মুখ খুলেছি। আমার কথা শুনে কেউ আঘাত পেলে দুঃখিত। মানুষের সঙ্গে যাতে দলের দূরত্ব না হয়, সে বিষয়ে বরাবর চেষ্টা করেছি।

 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.