প্রকাশ্যে মুখ খোলায় এবার শোকজ প্রবীর ঘোষালকে

"দলে একটা চক্র সক্রিয়, যারা চায় না ভালো লোকেরা থাকুন। দলের মধ্যেই তাঁরা ব্রাত্য হয়ে রয়েছেন। ভালো লোকেরা তৃণমূলে থাকতে পারবে না। পচা মুখ সরিয়ে শুদ্ধিকরণ না হলে দলকে মূল্য দিতে হবে।" তবে এখনও পর্যন্ত তিনি তৃণমূল ছাড়ার কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। এরপরই তাঁকে দলবিরোধী কাজের জন্য শোকজ করেছেন। প্রবীর জানান, তিনি কোনও চিঠি পাননি। পেলে জবাবে দেবেন। এর আগে বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকেও একই কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

এদিন হুগলি জেলার কোর কমিটির সদস্য ও জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তিনি বলেন, বিধায়ক পদ ছেড়ে দেব ভেবেছিলাম। স্থানীয় লোকেরই তাতে আপত্তি জানিয়েছেন। দলের সমস্যা মমতাকে বলার পর দলনেত্রী বলেছিলেন, অন্য কোথাও দাঁড়াতে। যেদিন লক্ষ্ণীরতন শুক্লা পদত্যাগ করেছিলেন সেদিনই তিনি নির্বাচনে না দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর কথা, পিকের কাজে দলের উন্নতি হয়নি। অন্তর্কলহ বেড়েছে।

প্রবীর বলেন, তিনি বিধায়ক হওয়ার জন্য তৃণমূলে নেই। তোষামোদ করে তিনি চলতে পারবেন না। যা ঠিক তা বলবেনই। তাঁর এলাকা উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন কলেজের ম্যানেজিং কমিটিতে কলেজের গভর্নিং বডিতে রাখা হয়নি তাঁকে। এই নোংরা রাজনীতিতে তিনি নেই। শিক্ষামন্ত্রীকে মমতা বললেও তিনি ব্যবস্থা নেননি। এলাকার একটি রাস্তা মেরামত নিয়েও তাঁর ক্ষোভ চরমে। পঞ্চায়েত প্রধান কথা শুনলে রাস্তা হয়ে যেত। তাঁর কথা, তাঁকে হারানোর জন্য দলের মধ্যেই চক্রান্ত হচ্ছে। ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েইছে। শুভেন্দু একজন বড় সংগঠক। সে কথা অস্বীকার করা যায় না। রাজীবও একজন ভালো ছেলে। বৈশালীও দলের আত্মসমালোচনা করেছিলেন, দলবিরোধী কিছু করেননি। সেজন্য তাঁকে বহিষ্কার করতে হবে! প্রবীর বলেন, আমি ৮২ সাল থেকে মমতার সঙ্গে আছি। ভালো লোকজন দল ছেড়ে যাবেন। অমিত শাহর সভায় তিনি যাবেন কিনা জানতে চাইলে তাঁর কৌশলী জবাব, কেউ আমাকে কোনও প্রস্তাব দেয়নি। সাংবাদিক বৈঠকের পর তাঁর অফিসের সামনে তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post