কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ট্র্যাক্টর মিছিলে শুরুর আগেই উত্তেজনা দেখা দিল দিল্লির সিংঘু, টিকরি সীমান্তে। সঞ্জয় গান্ধি ট্রান্সপোর্টনগরের কাছে পুলিশকে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়। লাঠিচার্জ করতে হয়। পুলিশের প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে চান কৃষকরা। তাঁরা কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির। ট্র্যাক্টর ছাড়াও পায়ে হেঁটেও রাজধানীর দিকে এগোচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। মুবারকা চকে পুলিসের গাড়িতে উঠে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। তারা পুলিশের হাত থেকে টিয়ার গ্যাসের বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। কারনাল বাইপাসেও ব্যারিকেড ভাঙেন কৃষকরা। অন্তত সাতটি বাসের কাচ ভাঙা হয়েছে। জখম হয়েছেন পুলিশকর্মীরা। ব্যারিকেড ভাঙা হয়েছে পাণ্ডবনগরের কাছে দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়েতেও।
রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ শেষ হওয়ার পরই এই ট্র্যাক্টর মিছিল শুরু হবে বলে জানানো হয়েছিল। নভেম্বরের শেষ থেকেই সীমান্তে অবস্থান করছেন কৃষকরা। সময় নিয়ে অধৈর্য কৃষকরা টিকরি সীমান্তেও অশান্ত হয়ে উঠছেন। নেতারা তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন। সঠিক সময় নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা। দিল্লির সিংঘু, গাজিপুর ও টিকরি সীমান্ত দিয়ে ৪১টি কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার মূল তিনটি মিছিল দিল্লির প্রায় ১০০ কিলোমিটার অতিক্রম করবে। কৃষক সংগঠনগুলির দাবি, অন্তত ২ লাখ ট্র্যাক্টর এদিনের মিছিল অংশ নেবে।
এই মিছিলের পরিপ্রেক্ষিতে কড়া হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। রাজপথে মোতায়েন হয়েছে ৬ হাজার পুলিশকর্মীকে। পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানে সক্রিয় অন্তত তিনশোটি টুইটার হ্যান্ডেলের মাধ্যমে মিছিল বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে খালিস্তানি ও আইএসআইয়ের মদতে। পাশাপাশি রাজপথে সরকারি কুকাওয়াজের দিকেও কড়া নজর রয়েছে। দিল্লির চারিদিকে পাঁচস্তরীয় নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback