বেসরকারি হাসপাতালে ভুল অস্ত্রোপচার, সুবিচার চেয়ে হয়রানির শিকার যুবক


সাতবার অস্ত্রোপচারের পরেও সুস্থ হননি। উলটে পেশি ও শিরা কেটে যাওয়ায় কার্যত হারিয়েছেন চলচ্ছক্তি। কাঠগড়ায় সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতাল। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল অস্ত্রোপচারের অভিযোগ করলেন কসবার বাসিন্দা রাজেশ সাহা। যুবকের অভিযোগ, আগে ৬ বার ভুল অস্ত্রোপচার করেছিলেন হাসপাতালের এক চিকিৎসক। সপ্তমবার জোড়াতাপ্পি দিয়ে পা জোড়া লাগানো হয়। স্বাস্থ্যদফতরকে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী কসবা ও বিধাননগর থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। 'দিদিকে বলো'-তে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। পাশে দাঁড়াননি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরলেও মিলেছে শর্ত। বারবার হয়রানির শিকার কসবার ওই যুবক। সুবিচারের আশায় এবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তা করছেন তিনি।

বছর ৩৪-এর কসবার হালতুর যুবক রাজেশ সাহা জানান, একটি বেসরকারি অফিসে কাজ করতেন তিনি। ২০১৯ সালে তাঁর পায়ের ওপর বাইক পড়ে যায়। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তাঁর পরিবারের পরিচিত একজন চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি সল্টলেকের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই ৭ বার তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। যুবকের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের ফলে তাঁর পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। আগে ৬ বার তাঁর ভুল অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। পরে সপ্তমবার একপ্রকার জোড়াতাপ্পি দিয়ে তাঁর পা জোড়া লাগানো হয়। তাঁর পায়ের পেশি ও শিরা চটে যাওয়ায় ক্রাচ নিয়ে হাঁটাচলা করছেন তিনি। এনিয়ে স্বাস্থ্যদফতরকে জানানো হলেও মেলেনি সাহায্য। চাকরি চলে যাওয়ায় চরম আর্থিক অনটনে রয়েছেন তাঁর পরিবার। এমনকি স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলর, সংসদ, বিধায়কদের কাছে আবেদন করেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাঁর দাবি, রাজ্যের একজন নাগরিক হয়েও বারবার হেনস্থা হতে হয়েছে তাঁকে। প্রশাসন, মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করেও সুবিচার পাননি। তাই বাধ্য হয়ে কেন্দ্রের শরণাপন্ন হচ্ছেন তিনি। এবার নিজেই নিজের সুবিচার আদায় করে নেবেন রাজেশ।         


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post