হামলার আশঙ্কায় আগেই ‘এফআইআর’ করেছিলেন নিমতিতা বিস্ফোরণে আহত মন্ত্রী

আচমকা কেন রাজ্যের মন্ত্রীর ওপর হামলা হল এই প্রশ্নে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রীতিমতো আইইডি (IED) বিস্ফোরণ হয়  নিমতিতা স্টেশনে। সেসময় রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন নিমতিতা স্টেশনে ছিলেন কলকাতা ফেরার ট্রেন ধরার জন্য। মূলত তাঁকে লক্ষ্য করেই বিস্ফোরণ সেটা নিয়ে নিঃসন্দেহ পুলিশ ও ফরেন্সিক টিম। জানা যাচ্ছে, প্রশিক্ষিত হাতে তৈরি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন IED ব্যবহার করা হয়েছে নিমতিতা স্টেশনে। বিস্ফোরণে  মন্ত্রীর সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। মন্ত্রী জাকির হোসেনের আঘাতও গুরুতর। কিন্তু এবার আরও এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল। মন্ত্রী আগে থেকেই তাঁর ওপর হামলার আশঙ্কা করেছিলেন। শুধু আশঙ্কাই নয়, তিনি রীতিমতো এফআইআর (FIR) করেছিলেন মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানায়। 

২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর তিনি গরুপাচার চক্রের মূল পাণ্ডা এনামুল সহ তিন জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। অভিযোগের তীর ছিল এনামুল হক (রহমান) ওরফে খুদে , তাঁর ভাগ্নে মেহেদী হাসান ওরফে অন্তু এবং হুমায়ুন কবীর ওরফে পিন্টুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ পত্রে তিনি লেখেন, পাচার কে সর্বাত্মক করতে এলাকায় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসা হচ্ছে। এমনকি পাচার বন্ধের চেষ্টা করায় তাঁকে লাগাতার প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তাঁর অভিযোগ ছিল গরু পাচারের টাকা নিষিদ্ধ সংগঠনের কাজকর্মে দেওয়া হচ্ছে। ফলে গরু পাচারকারী চক্রের পাশাপাশি নিষিদ্ধ সংগঠনের তরফেও তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে।

 ফলে প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের একজন মন্ত্রীর অভিযোগ পেয়েও পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল? মন্ত্রীর প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকা সত্বেও কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি তাঁকে? যদিও দেখা যাচ্ছে মন্ত্রীর আশঙ্কাই সত্যি হল। এই ঘটনার সঙ্গে JMB  বা অন্য কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্য পুলিশ এবং ফরেন্সিক দফতরের অনুমান সেরকমই। উল্লেখ্য, শুক্রবার কলকাতার SSKM হাসপাতালে পায়ে অপারেশন হয় মন্ত্রী জাকির হোসেনের।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post