আগামীদিনে রেলের গুরুত্বপূর্ণ হাব হতে চলেছে ডানকুনি

ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ডানকুনির গুরুত্ব বাড়াতে চলেছে পূর্ব রেল। এখানেই একটি নতুন কোচিং টার্মিনাল তৈরির জন্য চলতি রেল বাজেটে ৪৩৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন কোচিং টার্মিনাল? রেল কর্তাদের কথায়, ভবিষ্যতে দূরপাল্লার ট্রেনের জন্য বড় হাব হতে চলেছে ডানকুনি। তাই এখানেই তৈরি হতে চলেছে দূরপাল্লার ট্রেন ধোয়ামোছা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নতুন একটি কোচিং টার্মিনাল। পূর্ব রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই রোল জোনে হাওড়া, শিয়ালদা ও কলকাতা স্টেশনেই রয়েছে কোচিং ইয়ার্ড। কিন্তু এই স্টেশনগুলিতে ট্রেনের চাপ বাড়ছে। তাই জায়গা পেতে সমস্যা হচ্ছে। এবার সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল রেলমন্ত্রক। যদিও আগে থেকেই ডানকুনিতে টার্মিনাল তৈরির দাবি ছিল, এবার বাজেটে সেটাই অনুমোদন দিল কেন্দ্র। 

রেল সূত্রে খবর, দূরপাল্লার ট্রেনের গতি বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই দিল্লি-হাওড়া রুটে ট্রেনের গতি ১৬০ কিমি প্রতি ঘন্টা করতে কাজ চলছে। রেললাইনের উন্নতিসাধন এবং ট্র্যাকের দুধারে বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে। এই কাজ সম্পূর্ণ হলেই এই শাখায় দ্রুতগতির দূরপাল্লার ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে। এছাড়াও বহু বেসরকারি ট্রেনও চলবে। তখনই ডানকুনি হয়ে উঠবে দূরপাল্লার ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাব। পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রেনের ক্ষেত্রেও ডানকুনিই হতে চলেছে রেলের গুরুত্বপূর্ণ জংশন। কারণ ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর শেষ হবে এই ডানকুনিতেই। আবার চলতি বাজেটে প্রস্তাবিত ভুসাবল থেকে ডানকুনি পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সাব করিডরও রয়েছে। 

ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে পূর্ব রেল ডানকুনি থেকে চন্দনপুর পর্যন্ত ২৫ কিমি রেলপথে চতুর্থ লাইনের কাজ চলছে। যার মধ্যে ২১ কিলোমিটারের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি চার কিমির জন্য এই বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে ৭৩ কোটি টাকা। ফলে আগামীদিনে এই রুটে ট্রেনের জট কাটাতেই রেললাইনের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। ফলে আগামী সময়ে ডানকুনি হয়ে উঠবে রেলের এক অপরিহার্য স্টেশন। পাল্টে যাবে এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিবেশ। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post