‘ই-স্কুটার’ চালিয়ে দিনভর ‘লাইম লাইটে’ মমতা

পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ মুখ্যমন্ত্রী সকালে নবান্নে আসেন ববি হাকিমের ই-স্কুটি চড়ে। ফলে একটা হৈ চৈ পরে যায় রাজ্যজুড়ে, খবরওয়ালারা দ্রুত সেই ছবি তোলে কিংবা লাইভ টেলিকাস্ট করে। ফলে সংবাদমাধ্যমের দৌলতে সেই ভিডিও বা ছবি ছড়িয়ে পড়ে ড্রয়িং রুমে। বৃহস্পতিবার সারাদিনই ছিল বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডার বঙ্গ সফর। তাঁকে নিয়েই প্রচার মাধ্যমে ছিল দিনভর ব্যস্ততা। তাঁর সফরের নানান প্রান্তের খবর, যেখানে তাঁর মন্দির বা বঙ্কিমচন্দ্রের বাড়ি দর্শন থেকে দুপুরের খাওয়া দাওয়া, শেষে তাঁর ভাষণের একটা বড় অংশ ছিল। 

এরমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী হাজরা মোড় থেকে ই-স্কুটারের পিছনে বসেই নবান্ন পৌঁছালেন। ফলে সংবাদমাধ্যমের ফোকাস ঘুরে গেল সেই দিকে। মাঝখানে অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায় এলেন বনগাঁ ঠাকুরনগরে, সেখানেই জনসভা করলেন। কিন্তু এদিন শেষবেলায় এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা গেল সেই নবান্ন থেকেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে বেরিয়ে নিজেই স্কুটি চালাতে শুরু করলেন। তবে ঠিক চালালেন বললে ভুল হবে, তিনি চালালেন কিন্তু পিছনের কেরিয়ার ধরে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রীর সিকিউরিটি আধিকারিকরা। এই ভাবেই তিনি একেবারে বিদ্যাসাগর সেতুর কাছে চলে এলেন।

 মিডিয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াও জাগ্রত হয়ে উঠলো মুহুর্তে। তৃণমূলপন্থীদের ছবি এবং বাহবা ভরা পোস্ট উঠে এল সোশাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যঙ্গও শুরু করলেন বিরোধীরা। আর সব গুলিই ভাইরাল হল দিনভর। বিদ্যজনরা বললেন, এ আবার কি ? বামপন্থীরা বললো সবটাই নাটক। বিজেপির প্রতিক্রিয়া নেই সেভাবে। কিন্তু নাড্ডার খবরকে পিছনে ফেলে মমতা হয়ে উঠলেন খবর, আর তা যতই হাস্যকর কিংবা দুর্দান্ত হোক না কেন দিনের শেষে মুখ্যমন্ত্রীই লাইম লাইটে থাকলেন।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post