দুর্ঘটনার কবলে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ, খুনের চেষ্টার অভিযোগ বিজেপির

শনিবার রাতেই মিনাখাঁর বিজেপি নেতা বাবু মাস্টারের ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। তিনি বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। এই ঘটনাটিও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। এক্ষেত্রেও বরাতজোরে বাঁচলেন বিজেপি সাংসদ। কিন্তু বিজেপি তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুলছে। শনিবার রাতেই বারাসত হেলাবটতলা মোড়ের কাছে বিজেপি সাংসদের গাড়িতে একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা মারে বলে জানা গিয়েছে। শনিবারই তিনি বিমানে দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন। বিমানবন্দর থেকে নিজের গাড়িতে তিনি রানাঘাট ফিরছিলেন। সেই সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে বারাসতে।

তবে তাঁর গুরুতর আঘাত না লাগলেও দুর্ঘটনার তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর দাবি, গাড়ি নিয়ে তিনি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই সময় আচমকাই ট্রাকটি পিছন থেকে তাঁর গাড়িতে ধাক্কা মারে। গাড়ির চালক ও দেহরক্ষীর তৎপরতায় তিনি বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন  রানাঘাটের  সাংসদ জগন্নাথ সরকার।  তবে ঠিক কি কারণে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রন হারায় সেটা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বিজেপির দাবি, এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। বরাতজোরেই বেঁচে গিয়েছেন সাংসদ। যদিও তৎপরতার সঙ্গেই পুলিশ ট্রাকটিকে আটক করে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যায়। পুলিশের দাবি, তাঁরা তদন্ত শুরু করেছে, কেন ট্রাকটি ধাক্কা মারলো সেটা জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ট্রাকটির কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কিনা সেটাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। 

তবে সূত্রের খবর, ওই ট্রাকটিকে গাড়ির কোনও কাগজপত্র এবং চালকের কোনও লাইসেন্স ছিল না। এখানেই গভীর ষড়যন্ত্র দেখছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই ঘটনার পর রবিবার সকাল দশটা থেকে নদীয়ার শান্তিপুর থানা বাগদিয়া বাজার এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেস জগন্নাথ সরকারকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছিল। এরই প্রতিবাদে পথ অবরোধ। প্রায় ৪৫ মিনিট অবরোধ চলার পর পর অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। ফলে জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post