কৃষ্ণর ম্যাজিকে কেরালাকে বধ করল এটিকে-মোহনবাগান

রবিবাসরীয় লড়াইয়ে এটিকে-মোহনবাগানকে নতুন করে অক্সিজেন দিলেন রয় কৃষ্ণ। কেরালার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত দুরন্ত জয় পেল হাবাসের এটিকে-মোহনবাগান। মার্সেলিনহো এবং রয় কৃষ্ণের গোল হাবাসের দলকে খেলায় ফিরিয়ে নিয়ে আসে। জোড়া গোল করে ম্যাচের সেরা রয় কৃষ্ণ। কিবু ভিকুনার কেরালা ব্লাস্টার্স ৩-২ গোলে হারিয়ে আইএসএলে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখল হাবাসের ছেলেরা। 

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ, প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল কেরালা। এমনকী গোলের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রেও এটিকে-মোহনবাগানকে এদিন টেক্কা দেয় ভিকুনার দল। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে বক্সের মধ্যে সাহাল আব্দুল সামাদের নেওয়া একটি দুরন্ত শট বাঁচিয়ে দেন এটিকের ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঞ্জান। পাল্টা ১১ মিনিটের মাথায় প্রবীরের একটি গোলমুখী শট রুখে বাঁচিয়ে কার্যত দুর্গরক্ষা করেন কেরালা গোলরক্ষক আলবিনো। ১৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে, ৩৫ গজ দূর থেকে বিশ্বমানের গোল করেন কেরালার স্ট্রাইকার গ্যারি হুপার। প্রথমার্ধে শুরুতেই গোল হজম করে পিছিয়ে আসে মার্সেলিনহোরা। 

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে রয় কৃষ্ণ-প্রবীররা। ৫১ মিনিটে সামাদের কর্নার থেকে রাহুল কেপির ফ্লিক অরিন্দমের হাতে পৌঁছনোর আগেই উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে কেরালাকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন কোস্টা। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে আর দমে যায়নি হাবাসের দল। বরং আক্রমণে ঝাঁজ বাড়ায় তারা। ৫৯ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্সেলিনহো। ৬৪ মিনিটে মনবীরকে আটকাতে গিয়ে বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে ফেলেন কেরালা ব্লাস্টার্সের ডিফেন্ডার। পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। স্পটকিক থেকে গোল করে ম্যাচের সমতা ফেরান রয় কৃষ্ণ। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিটে বাকি থাকতে রয় কৃষ্ণ গোলে জয় নিশ্চিত হয় হাবাসের এটিকে-মোহনবাগানের। ম্যাচ জিতে ২৭ পয়েন্ট পেয়ে দুই নম্বরে রয়ে গেল এটিকে-মোহনবাগান। অপরদিকে ১৫ ম্যাচ শেষে ১৫ পয়েন্ট কেরালা ব্লাস্টার্সের।  


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post