নবান্ন অভিযানের শুরুতেই সামনে পৌঁছে গেলেন বাম বিধায়ক, ধুন্ধুমার

বৃহস্পতিবার বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে নবান্ন চত্বরে। তবুও পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে সিপিএম বিধায়ক তথা যুব নেতা ইব্রাহিম আলি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জনা পাঁচেক ছাত্র-যুব সদস্য। তাঁরা আচমকা নবান্নের সামনে পৌঁছে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রথমে হকচকিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। পরে তাঁদের আটক করে সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। অভিযোগ, সিপিএম বিধায়ক সহ পাঁচজনকে কার্যত টেনেহিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়। ফলে নবান্ন অভিযানের শুরুতেই গোলমালের জেরে নবান্ন এলাকায় নিরাপত্তা আরও কড়া করে দেয় পুলিশ। 

শূন্যপদে নিয়োগ, সকলের জন্য খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষার অধিকার-সহ একগুচ্ছ দাবিতে আগেই বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। ফলে এদিন সকাল থেকেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি চোখে পড়েছে নবান্ন এলাকায়। এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, ছাত্র ফেডারেশন সহ আটটি বাম ছাত্র ও যুব সংগঠন। 

এছাড়াও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনকেও সামিল হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে ১০টি সংগঠন এদিন নবান্ন অভিযানে অংশ নিচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতা এবং হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নবান্নের উদ্দেশ্যে মিছিল শুরু হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, এই অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে মিছিলকারীরা ধর্মতলার ডোরিনা ক্রশিং পর্যন্ত মিছিল করতে পারেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ১০টি ছাত্র ও যুব সংগঠন পুলিশের কথা মানতে নারাজ। মিছিল আটকাতে জোরকদমে প্রস্তুত পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছে চার হাজার পুলিশকর্মী। রাখা হয়েছে ৪টি জলকামান। কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছে। চারিদিকে মিছিল আটকে দেওয়া হচ্ছে। নবান্নের সামনে লাঠিচার্জও করা হয়েছে। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post