বেহালা পূর্বে কী স্বামী স্ত্রীর মধ্যে লড়াই?



 
এখনও রাজ্যের কোনও বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি বা তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে কয়েকটি আসন নিয়ে। যেমন বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। যিনি ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতলেও বর্তমানে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এখানে হয়তো তাঁকেই টিকিট দেবে বিজেপি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী কে? ওই হেভিওয়েট সিটে তৃণমূলের টিকিট কে পাচ্ছেন সেটা নিয়েই মূলত জল্পনা। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তৃণমূল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্নাকে এই কেন্দ্রের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে। 
 
উল্লেখ্য, ১৪ আগস্ট, ২০১৯ সালে শোভন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। অনেক জলঘোলার পর অবশেষে তাঁরা বিজেপির হয়ে প্রচারে নামছেন নিয়ম করেই। তারপরই তৃণমূল রত্নাকে বেহালা পূর্বের দায়িত্ব দেয়। যদিও একসময় শোভন বিজেপির সাথে দূরত্ব তৈরি করায়, ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু এবারে বিজেপির হয়ে পুরোদস্তুর প্রচারে নেমে গেছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। ফলে আর শোভনের নিত্য পরিবর্তন মুডকে আমল দিতে রাজি নয় তৃণমূল। ফলে রত্নাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। আর এটা হলে রাজ্যের এই কেন্দ্রে ভোটের ময়দানে আমনা-সামনি দেখা যাবে স্বামী-স্ত্রীকে।

প্রসঙ্গত ওই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর শোভন চট্টোপাধ্যায়। পরে বিধায়ক হন বেহালা পূৰ্ব কেন্দ্র থেকে জিতে। এবারে বিজেপি কি করতে পারে এই নিয়েই তীব্র জল্পনা বাংলার রাজনৈতিক মহলে।  বিজেপি চট করে জয়ী প্রার্থীর অঞ্চল পরিবর্তনের পথে যায় না বলেই দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। তাই বেহালা পূর্বে শোভন চট্টোপাধ্যায়কেই হয়তো দেখা যাবে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে। অপরদিকে দীর্ঘদিন স্ত্রীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই শোভনের। কিন্তু তাহলেও স্বামী-স্ত্রীর এহেন ভোটযুদ্ধ মেনে নেবেন কি বেহালা পূর্বের অধিবাসীরা? ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন ঘটনা আছে কি? আপাতত এখন এই প্রশ্নগুলিই ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।     

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post