দুষিত পানীয় জল খেয়ে খাস কলকাতায় মৃত্যু দুজনের, তদন্তের নির্দেশ ফিরহাদের

খাস কলকাতায় পানীয় জল খেয়ে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার। তবে দুষিত জল পান করেই যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে সেটা মানতে নারাজ কলকাতা পুরসভা। তবুও কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি ওই এলাকার জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার নির্দেশও দিয়েছেন। উল্লেখ্য, রবিবার, কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৫ নম্বর শশীশেখর বসু রোডের শ্রমিক আবাসনে ৫৫ বছরের ভুবনেশ্বর দাসের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। এরপরই হইচই পড়ে যায়। অভিযোগ ওঠে, পানীয় জলের পাইপ ফেটে যাওয়ায় নিকাশি নালার জল ঢুকেই দূষণ ঘটেছে। 

 

ফলে সেই জল খেয়েই একাধিক বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং একজনের মৃত্যু হয়। মোমবার আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল দুই। গত ১১ মার্চ এই সমস্যা শুরু হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। তাঁদের আরও দাবি, প্রায় ৭০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মৃতদের মধ্যে একজন কলকাতা পুরসভারই কর্মী। তিনি থাকতেন ভবানীপুর শশিশেখর রোডে, তাঁর নাম ভুবনেশ্বর দাস। অপরদিকে আলিপুর সংশোধনাগাড়ে এক মহিলা বন্দিরও মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম রিমকি তামাং। সূত্রের খবর, ওই জেলে বন্দি বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রাজ্যের কারা দফতর সূত্রে খবর, পেটের ব্যথা ও আমাশার সমস্যা নিয়ে শম্ভুনাথ পণ্ডিত, পিজি-তে ভর্তি রয়েছেন আরও পাঁচ জন বন্দি।

মঙ্গলবার সকালে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম জানান, এই ঘটনায় কলকাতা পুরসভার গাফিলতির কথা শুনেছি। এ বিষয়ে পুরসভার আধিকারিকদের আগে থেকেই  সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। তবে আমি ঘটনার কথা শোনা মাত্র আজ  সকালে জল সরবরাহ বিভাগের ডিজি-কে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করতে বলেছি। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তবে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর রতন মালাকার দাবি করেছেন, জল দুষণের জেরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়নি। তাঁর হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল।

 

 যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভুবনেশ্বর দাস থাকতেন শ্রমিক কোয়ার্টারে, তাঁরই মৃত্যু হয়েছে। আর তাঁর স্ত্রী ও জামাইও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এমনকি আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। প্রত্যেকেই ডায়রিয়ায় ভুগছেন। তবে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা থেকে ওই এলাকায় তিনটি করে পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হচ্ছে সকাল বিকাল। পাশাপাশি মঙ্গলবার পুরসভার অফিসাররা আলিপুর মহিলা জেলে গিয়ে জলের নমুনা পরীক্ষা করে দেখবেন।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post