মৃতদেহ অদল বদল দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে, চাঞ্চল্য

এর আগে বহুবার সরকারি হাসপাতালে মৃতদেহ বদলের অভিযোগ সামনে এসেছে। কিন্তু এবার অভিযোগ এল এক নামজাদা বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালের। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে এই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বুধবার রাতে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তাঁদের দেহ আলাদা আলাদা পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ধানবাদের নিরসার বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর  চম্পাই মাজিকে দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, বুধবার বেলার দিকে মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু পরিবারের লোকজন দুরে থাকার ফলে তাঁর দেহ হাসপাতালের মর্গেই রাখা হয়। অপরদিকে সরস্বতী পুজোর আগে মস্তিস্কের সমস্যা নিয়ে ওই হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিলেন দুর্গাপুরের লাউদোহার ইছাপুরের বাসিন্দা পরেশ সামন্ত (৭৮)। বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই পরিবারের লোকজনদের হাতে দুটি মৃতদেহ তুলে দেয় ওই হাসাপাতালের মর্গের কর্মীরা। সাদা চাদরে মোড়া দেহ দুটি নিয়ে দুই পরিবারই চলে যান শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে। দুর্গাপুরের ইছাপুর গ্রামের পরেশ সামন্ত এর পরিবার মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যান ত্রিবেণীতে। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান যে তাঁদের অন্য কারোর মৃতদেহ দেওয়া হয়েছে। ততক্ষণে লাউদোহার পরেশ সামন্তর মৃতদেহ পৌঁছে গেছে ধানবাদে। তাঁরাও দেহ সৎকারের সময় দেখেন অন্যের মৃতদেহ নিয়ে চলে এসেছেন ধানবাদের নিরসায়। 

 

এরপরই দুই পরিবার টেলিফোনে যোগাযোগ করেন ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মেটাতে যায়। এবং পুরো ঘটনার দায় ওই দুই পরিবারের উপর চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের দাবি, মৃতদেহ হস্তান্তরের সময় দুই পরিবারের পরিজনরা কেউই তাদের আত্মীয়দের মুখ দেখে চিহ্নিতকরণ করেননি। কিন্তু পরেশ সামন্তর পরিবারের দাবি, তাঁদের দেহ দেখতেই দেওয়া হয়নি। তাই এই বিপত্তি। ঘটনা জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কী করে দুই পরিবারের মৃতদেহ অদল বদল হয়ে গেল? তা নিয়ে উঠেছে বিস্তর প্রশ্ন।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post