‘প্রার্থী হতে চাই না’, বিজেপির টিকিট পেয়েই বললেন রন্তিদেব

ব্যক্তিগত কারণেই আমি বিজেপির প্রার্থী হতে চাইনা, এটা দলকেও জানিয়েছিলাম। কিন্তু কেন আমার নাম ঘোষণা করা হল সেটা ভেবেই অবাক হচ্ছি। টিকিট পেয়ে নিজের প্রতিক্রিয়ায় এটাই জানালেন হাওড়া দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত। রবিবার তৃতীয় ও চতুর্থ দফার নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল বিজেপি। সেখানে হাওড়া দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে নাম রয়েছে রন্তিদেব সেনগুপ্তর। সিএন নিউজকে দেওয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে রন্তিদেববাবু পরিস্কার জানিয়েছেন, কোনও কেন্দ্র থেকেই আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে চাইছি না। আমি গত দুমাস ধরে ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ প্রচারে যেমন দলের হয়ে কাজ করছিলাম, সেটাই করে যেতে চাই। আগামী দুমাসও আমি বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করতে চাই। প্রার্থী হওয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখে দলের হয়ে প্রচারেই আত্মনিয়োগ করতে বেশি পছন্দ করছি। দলের ওপর আমার বিশ্বাস আছে, আস্থা আছে এবং ভরসাও আছে। দলীয় নেতৃত্বের ওপর আস্থা রেখেই বলছি এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি মন্ত্রী, এমএলএ, এমপি হতে চাইনা। 

দলকে এটা জানিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, আজ (রবিবার) সকালেও আমি শিবপ্রকাশজি-কে  আমার এই কথা জানিয়েছিলাম। আমাকে আগে কেউ জিজ্ঞেস করলে আগেই জানিয়ে দিতাম। তিনি প্রার্থী হওয়ার আবেদনও করেননি বলেই জানালেন রন্তিদেববাবু। তবে তাঁর নাম কেন বিবেচনায় এল সেটা নিয়েই ধোঁয়াশায় রয়েছেন তিনি বলে জানালেন সিএন নিউজকে। অপরদিকে এই ঘটনা সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায় কটাক্ষের সুরে বলেন, বিজেপিতে কেউ প্রার্থী হতে চাইছেন না, তাই ধাপে ধাপে তালিকা প্রকাশ করতে হচ্ছে। রন্তিদেববাবু আবার ভোটেই দাঁড়াতে চাইছেন না, এটাই হল বিজেপির দৈন্য দশা। উল্লেখ্য, রন্তিদেব সেনগুপ্ত বিজেপির বহু দিনের সৈনিক। তিনি আরএসএস থেকেই উঠে এসেছেন রাজনীতির আঙিনায়। এর আগে লোকসভা নির্বাচনেও তাঁকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। যদিও জিততে পারেননি তিনি। এবার বিধানসভা ভোটেও টিকিট পাওয়ার পরই বেঁকে বসলেন তিনি। যদিও রন্তিদেববাবুর এই সিদ্ধান্তের পর বিজেপির শীর্ষ নেতাদের কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি এখনও।  


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post