নিষেধাজ্ঞা উঠতেই কোচবিহারে মমতা, বললেন প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হবে

কথামতো নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা উঠতেই শীতলকুচিতে পা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করলেন নিহতদের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে। চতুর্থ দফার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন চারজন, এর আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এদিন পাঁচজনের পরিবারের সঙ্গেই দেখা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপি কর্মী বলে দাবি করা আনন্দ বর্মণের মামা ও দাদু এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মাথাভাঙা হাসপাতালের পাশের মাঠে পৌঁছন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে হাজির ছিলেন শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে নিহত চারজনের পরিবার। তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গেই এদিন কথা বলেন, সমবেদনা জানালেন তৃণমূলনেত্রী। নিহত মনিরুল হকের স্ত্রী-র কোল থেকে তাঁদের সদ্যোজাত সন্তানকেও কোলে তুলে নিলেন তিনি। 


পরে বললেন, ‘আজ কোনও সভা ছিল না এখানে। আমি শুধু নিহত ছেলেগুলোর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। আমার সঙ্গে পাঁচটি পরিবারই দেখা করেছে। আনন্দের দাদু এবং মামাও ছিলেন’। প্রথমবার ভোট দিতে গিয়ে বুথের বাইরেই গুলিতে মারা গিয়েছিলেন আনন্দ বর্মণ। তাঁর মৃত্যু নিয়ে সরব নন তৃণমূলনেত্রী, এমনটাই দাবি করে আসছিল বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন তাঁর মামা ও দাদু এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলের ঘরের লোক। প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবেই। নিহত পাঁচ জনের পরিবারই সরকারি সাহায্য পাবে’। প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফার ভোটের দিন কোচবিহারের শীতকুচিতে ভোটের দিন দুটি ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন পাঁচজন। এরপর কমিশন কোচবিহারে পরবর্তী ৭২ ঘন্টা কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী ঢুকতে পারবে না বলেই নির্দেশিকা দেয়। সেই সময়সীমা পার হতেই কোচবিহার পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে জানালেন, ভোট মিটতেই ফের আসবেন শীতলকুচি।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post