ভাষণে যুক্তি তর্ক কোথায় ?


একটা সময় ছিল যখন ভোটের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি মঞ্চে মঞ্চে যে বক্তৃতা দিতো তার মধ্যে যুক্তি থাকতো বা তর্ক করার সুযোগ থাকতো | ইন্দিরা গান্ধি কলকাতায় কংগ্রেসের হয়ে প্রচারের সময়ে বিরোধীদের আমল দিতেন না | সমালোচনার দরকার হলে সামান্য বলতেন কখনও | রাজীব গান্ধি ভাষণে জ্যোতি বসুকে বসুজি বলে সম্ভাষণ করতেন | মানুষ মনে করতো দিল্লির সংস্কৃতি খুবই ভালো | অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রচন্ড সম্মান দিয়ে ভাষণ দিতেন এবং তাঁর ভাষণ ভারত বিখ্যাত ছিল | মনমোহন সিং খুব সামান্য বক্তব্য রাখতেন | এই ছিল দিল্লির বার্তা |

বাংলার ভাষণে এক সময়ে প্রমোদ দাশগুপ্ত বক্তব্যে ভাষা থাকতো খুবই আক্রমনাত্বক | কিন্তু জ্যোতি বসু বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য খুবই পরিশীলিত ভাবে বক্তব্য রাখতেন | বুদ্ধদেববাবু কারুর নাম করে সমালোচনা পছন্দ করতেন না | কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নম্রতার ধার ধারেন না | তারা ভুলে যান তাদের চেয়ারের মূল্য ফলে আজকাল তাঁদের ভাষণ মানুষ শোনে সময়ে কাটাবার জন্য |   

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post