শেষ দফার ভোটে ভাগ্যপরীক্ষা একাধিক হেভিওয়েটের


একুশের নির্বাচনে শেষ লগ্নে নবান্ন দখলের লড়াই। বৃহস্পতিবার কলকাতা সহ রাজ্যের চার জেলার ৩৫টি আসনে অষ্টম দফার ভোটগ্রহণ। শেষ দফায় ভোট হবে কলকাতার ৭টি, মালদার ৬টি, মুর্শিদাবাদের ১১টি ও বীরভূমের ১১টি আসনে। এই দফায় ভাগ্য পরীক্ষা হতে চলেছে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। কেউ পোড়খাওয়া, কেউ আবার প্রথম বিধায়কের লড়াইয়ে। 
এদিনই ভাগ্য নির্ধারণ হবে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর। কলকাতার শ্যামপুকুর কেন্দ্র থেকে লড়ছেন শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী এবং মানিকতলায় প্রাথী হয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।  ২০১১ এবং ২০১৬ সালে শ্যামপুকুর কেন্দ্র থেকে জেতেন শশী পাঁজা। মন্ত্রী হন ২০১৩ সালে। অন্যদিকে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এবারও তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন মানিকতলা থেকে । ১৯৮৪ সালে প্রথমবার বড়তলা (অধুনালুপ্ত) কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন তিনি। ২০০৬ সাল পর্যন্ত সেখানকার বিধায়ক ছিলেন তিনি। ২০১১ ও ২০১৬ সালে তিনি মানিকতলা থেকে ভোটে জেতেন। এই কেন্দ্রে তাঁর প্রতিপক্ষ প্রাক্তন ফুটবলার বিজেপি-র কল্যাণ চৌবে। কলকাতার প্রধান তিন ফুটবল ক্লাবের পাশাপাশি ভারতীয় দলের প্রাক্তন গোলকিপার ছিলেন তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপি-র টিকিটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন। 
অষ্টম দফায় নজর থাকবে, চার বারের বিধায়ক পরেশ পালের দিকে। ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে জেতেন তিনি। ২০১১ ও ২০১৬ সালে বেলেঘাটা কেন্দ্র বিধায়ক হন তিনি। এবারও বেলেঘাটা থেকেই তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। এই দফায় কলকাতার অন্যতম কেন্দ্র চৌরঙ্গি। অভিনয় থেকে রাজনীতিতে এসে প্রথমে ২০০১ ও পরে ২০০৬ সালে বৌবাজার আসনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে দল তাঁকে প্রার্থী করেনি। ওই নির্বাচনে চৌরঙ্গি কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী করে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রকে। ২০১৪ সালে শিখা মিত্র পদত্যাগ করলে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়ী হন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।  অন্যদিকে কলকাতার জোড়াসাঁকো কেন্দ্রে স্মিতা বক্সীর পরিবর্তে তৃণমূল এবছর প্রার্থী করেছে ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত থাকা রাজ্যসভার সাংসদ বিবেক গুপ্তকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে মীনাদেবী পুরোহিতকে। ৩০ বছর তিনি কলকাতার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর,  ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ছিলেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন।  রাজনীতিতে তিনি অভিজ্ঞ, তবে বিধানসভা ভোটে এই প্রথম।  কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রে তিনবারের বিধায়ক মালা সাহার পরিবর্তে তৃমমূল প্রার্থী করেছে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে। 
কলকাতার পাশাপাশি শেষ দফার নির্বাচনে চোখ থাকবে মালদার ইংরেজবাজার কেন্দ্রে।  এই কেন্দ্র থেকে এবারও ভোটে লড়ছেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী।  রাজ্যের প্রাক্তন এই মন্ত্রী ২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন ইংরেজবাজার থেকে।  ২০১৩ সালে দল বদল করে তিনি তৃণমূলে যান এবং জয়ী হন উপনির্বাচনে। তবে ২০১৬ সালে ইংরেজবাজার হারাতে হয়েছিল তাঁকে।   

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post