এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল। বুধবার কোচবিহারের শীতলকুচিতে এক জনসভা ছিল দিলীপ ঘোষের। সেখান থেকে কোচবিহার ফেরার পথেই শীতলকুচির কলেজ মাঠের পাশে তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরা দিলীপ ঘোষের কনভয় ঘিরে ধরে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রবল ইটবৃষ্টির জেরে তাঁর গাড়ির সামনের এবং জানলার পাশের কাঁচ ভেঙে যায়। এমনকি দিলীপ ঘোষের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগও করছেন বিজেপি নেতারা।
দিলীপ ঘোষ ছাড়াও শীতলকুচি বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী বরেন চন্দ্র বর্মণের গাড়ির উপর আক্রমণ হয়েছে। এদিন পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌঁছায় যে গাড়ির মধ্যেই কোনওভাবে হেলমেট পড়ে প্রাণ বাঁচান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি গাড়ি থেকে নেমে একটি বাড়িতে ঢুকে যান। জানা যাচ্ছে, এদিনের হামলায় বাঁ হাতে চোট পেয়েছেন দিলীপবাবু।
গোটা ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। দিলীপ ঘোষের দাবি, আজও সভা শেষ হওয়ার সময় ওদের লোকেরা স্লোগান দিয়ে উস্কানি দিচ্ছিল। কর্মীদের বললাম আপনারা ঘরে যান। পুলিস আমাকে কিছুক্ষণ থাকতে বলল। তারপর পুলিস গায়েব হয়ে গেল। মাঠের চারদিক ঘিরে শুরু হল বোমাবাজি। প্রায় শখানেক লোক হামলা করেছিল আজ। গাড়ির কাচ ভেঙেছে, গাড়িতেও বোমাবাজি হয়েছে। কাঁচ ভেঙে হাতে ইট লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, শীতলকুচি স্পর্শকাতর জায়গা। ৩ বছর ধরে এখানে ঢুকতে দেয়নি। লোকসভায় মানুষ জিতিয়েছিলেন। এটা দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল। পরে কোচবিহারের পুলিশ সুপার জানান, দিলীপ ঘোষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁকে শীতলকুচি থেকে বের করে আনা হচ্ছে। অপরদিকে এই ঘটনায় একাধিক সংবাদমাধ্যমের গাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। আগামী ১০ তারিখ এই জেলায় ভোট, তার আগেই এই ধরণের ঘটনা যথেষ্ট চিন্তার বিষয় বলেই মনে করছেন বাংলার রাজনৈতিক মহল।
Post a Comment
Thank You for your important feedback