শেষদিনেই ‘খেললেন’ নাকি শুভেন্দু?



 

 বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার মধ্যেই ৬০ শতাংশ ভোট পরে গেল নন্দীগ্রামে। এই চিত্র ৭২ সাল বা বিগত বাম আমলেও দেখা গিয়েছে বহুবার। প্রায় প্রতি মিটিংয়ে মমতার ডাক ছিল "খেলা হবে”-র। তার প্রশ্নের উত্তরে জনসভা সমস্বরে উত্তর এসেছিলো হ্যাঁ খেলা হবে। তা সেই খেলা নাকি শেষপর্যন্ত খেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনটাই মনে করছেন বাংলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁর গাড়ির উপর হামলা হওয়ার পরেও হাসি মুখে কটাক্ষ করতে দেখা গেল শুভেন্দুকে। চোখে মুখে জিতে যাওয়ার চিহ্ন স্পষ্ট। পাশাপাশি বহু জায়গায় ভোটারদের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের ভোট দিতে আটকাচ্ছে | অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে বুথ দখল করেও ছাপ্পা ভোট হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ ওঠে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতক্ষন কি করছিলেন ? তিনি সেই সময়ে বেরিয়ে এসে ভোটারদের সাহায্য করলেন না কেন? কেউ বলছেন, যথেষ্ট হোমওয়ার্ক না করেই নন্দীগ্রামে মমতা ভোট দাঁড়িয়েছেন। তা হলে চুপচাপ খেললেন নাকি শুভেন্দু অধিকারী, যিনি পূর্ব মেদিনীপুরের পালস বোঝেন।  শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নন্দীগ্রামের বয়ালে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রী। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। গোটা ঘটনা জানিয়ে ঘটনাস্থল থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য তিনি রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ করেন। অপরদিকে জানা যাচ্ছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.