নন্দীগ্রাম কার দিকে? দিনের শেষে রহস্যই রয়ে গেল

সারা সকাল দিব্যি মুডে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু দুপুরের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরোনোর পর সমস্ত রাজনৈতিক নির্যাস নিয়ে নিলেল তিনি। পাক্কা দু ঘন্টা ঘেরাও হয়ে ছিলেন বয়ালের এক বুথে। অনায়াসেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে বেরিয়ে আসতে পারতেন, কিন্তু এইসব কাণ্ডে অভ্যস্ত মমতা রয়ে গেলেন অকুস্থলেই। সারা ভারতে টেলিকাস্ট হলো মমতার অবস্থান। তিনি ওই বুথ থেকেই রাজ্যপালকে ফোন করলেন এবং নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলেন। একটা হৈ হৈ অবস্থার সৃষ্টি হল। তারপর তিনি বেরিয়ে এলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে এটা একটা পাল্টা চাপ দেওয়ার নীতি।  


এবার প্রশ্ন তৈরী হয়ে গেল অনেকগুলো। প্রথমত নরেন্দ্র মোদি বাংলায় এসে মমতাকে কটাক্ষ করে বললেন, তাঁরাই এবার সরকার গড়ছেন। দ্বিতীয়ত মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সিপিএমের পক্ষ থেকে বেশ কিছু অভিযোগ করলেও ছাপ্পা ভোট নিয়ে কিছু বললেন না। তৃতীয়ত ভোট শেষে শুভেন্দুকে দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে দেখা গেলেও প্রেসকে এড়িয়ে গেলেন। পরে অবশ্য বললেন, ‘হেরে যাবে (মমতা)। একটা প্রার্থী সকাল থেকে বের হয়নি। বেগমের এখান থেকে জেতা হচ্ছে না’। কিন্তু সকালের মতো আত্মবিশ্বাসী নয় শুভেন্দুর গলা। চতুর্থত মমতা নন্দীগ্রাম নিয়ে পুনর্নির্বাচন চাইলেন কি? বরং জেতার বিষয়ে তিনি আশাবাদীই বললেন। ফলে সারাদিনের ভোটে কি হতে চলেছে নন্দীগ্রামে তার পূর্বাভাস পাওয়া গেল না।    

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post