জানিয়েও মেলেনি অব্যহতি, ভোটের ডিউটিতে করোনা পজিটিভ ভোটকর্মী!

 

ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়েছিল এক করোনা সংক্রামিত আশাকর্মীকে৷ অষ্টম দফার ভোটে মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের ১৭০ নম্বর বুথে তিনি ভোটের লাইনে কাজও করলেন করোনা আক্রান্ত ওই ভোটকর্মী। ঘটনা জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল ওই বুথে। ওই আশা কর্মীর দাবি, গত কয়েকদিন ধরেই জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট থাকায় তিনি গত ২৪ তারিখ মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করান। ২৬ এপ্রিল তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরই মধ্যে তাঁর ভোটের ডিউটি পড়ে৷ ওই করোনা সংক্রমিত আশা কর্মীর দাবি, গোটা বিষয়টি তিনি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও বিডিওকে জানান৷ কিন্তু তাঁরা কেউ তাঁর কথা শুনতে চাননি৷ উলটে বাড়িতে পুলিশ পাঠানোর হুমকি দেন৷ এমনকি করোনা পজিটিভ রিপোর্ট দেখানোর পরও তাঁর ভোটের ডিউটি দিয়ে দেন। তাই বাধ্য হয়েই তিনি এদিন ১৭০ নম্বর বুথে ভোটের কাজে যুক্ত হন। 

ওই আশা কর্মী আরও দাবি করেন, অসুস্থ শরীর টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল না৷ তাঁর স্বামী জ্বরে আক্রান্ত এবং ১৪ বছরের ছেলেও কোভিড পজিটিভ৷ সব জানিয়ে তিনি জেলার বিএমওএইচ ও বিডিও-কে জানান। তবুও কেউ তাঁর কথায় কর্ণপাত না করে ভোটের ডিউটি দিয়েছেন। ভোট শুরুর পর বেশ কযেকঘন্টা তিনি কাজ করেন। খবরটি সিএন নিউজে প্রচারের পরই নড়েচড়ে বসে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে অবশেষে সরানো হয় ওই করোনা পজিটিভ আশা কর্মীকে। গোটা ঘটনা জানাজানি হতে তীব্র আতঙ্ক ওই এলাকায়। 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.