এবার বিপাকে মিঠুন

সম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটে দলের হয়ে প্রচার করেছেন। এই প্রচারেই এমন সব সিনেমার সংলাপ বলেছেন যা বিভিন্ন নাগরিক সমিতি মনে করে যে, ভোটপর্বে তা সংঘর্ষে উস্কানির ইন্ধন জুগিয়েছে। মিঠুনবাবু প্রথম জীবনে নক্সাল পার্টি করেছেন পরে সুভাষ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ হয়ে সিপিএমের হয়েও কাজ করেছেন। পরে জমানা পাল্টালে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী হন এবং পুরস্কার স্বরূপ রাজ্যসভার সদস্য হন। সবশেষে বিজেপিতে যোগদান। একুশের ভোট প্রচারে গিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় সিনেমার সংলাপ বলেছেন, যা সন্ত্রাস বা গণ্ডগোল পাকানোর পক্ষে যথেষ্ট বলে মনে করে নাগরিক মঞ্চগুলি।  

 


এমনই এক নাগরিক সমিতির পক্ষে মৃত্যঞ্জয় পাল এবং আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী ভোট পর্বের মধ্যেই মিঠুনের বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় এফআইআর দাখিল করেন। যার প্রাথমিক শুনানি হয় গত শুক্রবার শিয়ালদা আদালতে। অভিযোগকারীর বক্তব্য শোনার পর বিচারক এই অভিযোগ গ্রহণ করেন এবং আগামী ১ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। তবে সেই মামলার শুনানিতে পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করল শিয়ালদা এসিজেএম আদালত। মিঠুনের বিরুদ্ধে তদন্ত কতদূর অগ্রগতি হয়েছে, এ নিয়ে আদালত জানতে চেয়েছে বলে খবর। এই বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র তথা সাংবাদিক কুনাল ঘোষ CN পোর্টালকে জানান, একজন বিখ্যাত সর্বভারতীয় অভিনেতার মুখে  ‘মারবো এখানে লাশ পরবে শ্মশানে’ বা ‘এক ছোবলেই ছবি’ অথবা ‘মঙ্গল গ্রহ থেকে এসে’ ইত্যাদি সংলাপ সম্পূর্ণ উস্কানিমূলক। এতে যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে বঙ্গ সমাজে। কুণাল ঘোষের আরও দাবি,  তৃণমূল সাংসদ দেব বা বর্তমান বিধায়ক সোহমও বাংলা সিনেমায় অ্যাকশন ধর্মী ছবি করে থাকেন। কিন্তু তাঁরা কোথায় এই জাতীয় সিনেমার ডায়লগ বলেননি কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে। কুনালবাবু বলেন, মিঠুনবাবু তো রামকৃষ্ণের চরিত্রও করেছেন, সেই সংলাপও তো বলতে পারতেন। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, কার্যত নারদ কাণ্ডের কাউন্টার পার্ট তৈরী হচ্ছে।            

 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.