
এক সময় পায়রার পায়ে চিঠি বেধে প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে উড়িয়ে দেওয়া হত। এরজন্য অবশ্য ওই জাতীয় পায়রাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। তখন অবশ্য ডাক ব্যবস্থার সেরমক উন্নতি হয়নি। কিন্তু বর্তমান প্রযুক্তির যুগে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনের খবরাখবর নেওয়া জলভাত। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, মেল, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মতো কত কী না আছে? প্রযুক্তির সাহায্যে নিমেষেই পৌঁছে যায় বার্তা। কিন্তু এই বাজারেও যে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের অন্যতম হাতিয়ার পায়রা সেটা আবার প্রমান হল। ফের কাশ্মীর সীমান্তে ধরা পড়ল এরকমই এক সন্দেহভাজন পায়রা। যার পায়ে বাধা ছিল একটি চিরকূট। যেটা উদ্ধার করে রাতের ঘুম উড়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সেনাকর্তাদের। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও পাকিস্তান সীমান্তপার সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীও যোগ্য জবাব দিচ্ছে কাশ্মীর সীমান্তরেখায়। খুশির ঈদের দিনও রক্তাক্ত হল উপত্যাকা। সোমবার সকালেও জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে ফের সেনা ও সন্ত্রাসবাদীদের সংঘর্ষ। নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক শীর্ষ লস্কর-ই-তৈবা সন্ত্রাসবাদীর। প্রাণ গিয়েছে আরও এক সন্ত্রাসবাদীর। জানা গিয়েছে ওই সন্ত্রাসবাদী এ ক্যাটেগরি । এরমধ্যেই সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় ভারত-আম্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে একটি সন্দেহভাজন পায়রা ধরা পড়েছে। পায়ে চিরকূট বাধা ওই পায়রা দেখেই ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় পুলিশের কাছে খবর গেলে, তারা এসে পায়রাটিকে নিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে কাঠুয়ার এসপি শৈলেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ‘গ্রামবাসীরা পায়রাটিকে ধরে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তার একটি পায়ে আংটিতে একটি কাগজ পাওয়া গিয়েছে। তাতে কিছু নম্বর লেখা আছে। দেখে মনে হচ্ছে, কোডেড মেসেজ পাঠানো হচ্ছিল’। এখন ওই কাগজে লেখা নম্বরগুলির মানে উদ্ধার করতে উঠেপড়ে লেগেছেন গোয়েন্দারা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback