
শুক্রবার সকালেই আমফান বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরই তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে ওঠেন। এরপর আকাশপথেই আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপরই বসিরহাটে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন তিনজন। বৈঠকের পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমফানের দাপটে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একসঙ্গেই কাজ করবে। প্রথম থেকেই সবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। আপাতত ১০০০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে রাজ্যকে। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধাযের নেতৃত্বে রাজ্য যথাসাধ্য করছে। ভারত সরকারও চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, আমফানের জেরে এই রাজ্যে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এই বিপদের সময় আমরা সকলের পাশে আছি। কৃষি, বিদ্যুৎ, টেলিকমিউনিকেশন সবার ক্ষতি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিমানপথেই সব খুঁটিয়ে দেখলাম কী কী ক্ষতি হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গেই বিস্তারিত সমীক্ষা করা হবে। এই বিপদের সময় আমরা সবাই একসঙ্গে আছে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা হবে। যা নীতি নিয়ম আছে পুরো সাহায্য করা হবে রাজ্যকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন ফের জানিয়েছেন, আমফানের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্গঠনে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হবে। উল্লেখ্য, বুধবারের ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনও পরিস্কার হয়নি।
Post a Comment
Thank You for your important feedback