করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের জেরে মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এরপর কেটে গিয়েছে দুমাসের বেশি সময়। এখনও বন্ধ রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যের কয়েকটি জেলার ক্ষতি করেছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। ঝড়, জলচ্ছ্বাস ও নদীবাঁধ ভেঙে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেশিরভাগ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড ভেসে গিয়েছে বা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে চরম অনিশ্চিয়তায় রয়েছে সেই সমস্ত পরীক্ষার্থীরা। যদিও আমফানের আগেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, উচ্চমাধ্যমিকের বাকি তিনটি পরীক্ষা নেওয়া হবে আগামী ২৯ জুন, ২ ও ৬ জুলাই। কিন্তু তারপরই ঘূর্ণিঝড় আমফান লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে অনেক কিছুই। ফলে আদৌ ওই দিন পরীক্ষা নেওয়া যাবে কিনা সেই নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
তবে ওই দিনের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে পারলে আগামী আগস্টেই উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করা হবে বলেই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। বৃহস্পতিবার এমনই আশ্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষাদফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত প্রায় সাড়ে চারশো স্কুল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত। ওই স্কুলগুলির পরিবর্তে স্থানীয় কলেজ বা অন্যান্য স্কুলে পরীক্ষা নেওয়া যায় কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে আগামী ৬ জুলাইয়ের মধ্যেই পরীক্ষা শেষ করতে চাইছে শিক্ষাদফতর। সেইমতো সমস্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সূচি মেনে পরীক্ষা শেষ করতে পারলেই উচ্চমাধ্যমিকের ফল একমাসের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। অপরদিকে মাধ্যমিকের ফল খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে বলে তিনি বলেছেন। সুনির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ না জানালেও মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
Post a Comment
Thank You for your important feedback