বুধবার বেলা ১১-১২টার পর কেউ বাড়ি থেকে বেরোবেন না। যতক্ষণ না ঝড় চলে যাচ্ছে, ততক্ষণ বাড়িতেই থাকুন। বৃহস্পতিবার সকালের পর যখন ঝড় চলে যাবে, তারপর ঘর থেকে বেরোবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বলেন, বুলবুল, আয়লার থেকেও আমফান ভয়ঙ্কর হবে। এর শক্তিও বেশি থাকবে। তাঁর আবেদন, ঝড় চলে গেলেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়বেন না। আরও দমকা আসবে। কারণ এই ঝড়ের চোখ, মাথা আর লেজ আছে। চলে গেলেও ধাক্কা মারবে ঝড়ের লেজ। তিনি বলেন, মঙ্গল ও বুধবার বৃষ্টি হবে। বুধবার বেলা দুটোয় সাগরে আমফান আসছে। মধ্যরাত পর্যন্ত থেকে বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে।
তিনি বলেন, অনেক জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পূর্ব মেদিনীপুরেও ক্ষতি হবে। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, বসিরহাটেও প্রভাব পড়বে। সোমবার থেকেই টাস্কফোর্স কাজ শুরু করে দিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন ফ্লাড সেন্টারে মানুষজনকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রায় ২ লাখ লোককে সরিয়ে আনা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় ৫০ হাজার, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪০ হাজার, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০ হাজার লোককে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার পরিযায়ী শ্রমিকদের না আনতে রেলকে বলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ২২১৪ ৩৫২৬ ও ২২১৪ ১৯৯৫। টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০।
Post a Comment
Thank You for your important feedback