মাংসের জবাবে এঁচোড়

ফলন প্রচুর। ফেলে ছড়িয়েও শেষ করা যায় না। সেই কাঁঠালই এখন বিশ্বজয়ের পথে। পশ্চিম দুনিয়ার নিরামিশাষীদের পাতে এখন দাপট দেখাচ্ছে কাঁঠাল। বিশ্বের সবথেকে বেশি কাঁঠাল হয় ভারতে। সেই কৌলিন্যহীন ফলই এখন সান ফ্রানসিস্কো থেকে লন্ডনের শেফদের রান্নাঘরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। 
বিশেষ করে এঁচোড়ের কদর বেশি। অনেকটা পর্কের মতো তার স্বাদ। কেরলের ত্রিচুরের ভার্গিস তারাক্কান জানাচ্ছেন, বিদেশ থেকে প্রচুর খোঁজ আসছে। আন্তর্জাতিক স্তরে কাঁঠালের চাহিদা বাড়ছে। গড়ে পাঁচ কিলোর এই ফল পাকলে কাঁচাই খায় লোকে। তা লাগে জ্যাম. জেলি, জুস, আইসক্রিমে। কাঁচায় এঁচোড় থাকলে তা রান্না করে যা দাঁড়ায় তা পর্কের সমতুল। পিজা টপিংয়েও তা কাজে লাগানো হয়। 
জ্যাকফ্রুট টাকোস আর জ্যাকফ্রুট কাটলেট আমেরিকানদের ভীষণ পছন্দের, জানাচ্ছেন রেস্তোরাঁ চেনের মালিক অনু ভামব্রি। মাংস ছেড়ে কাঁঠালে পশ্চিমা আগ্রহ দেখে মাইক্রোসফটের চাকরিই ছেড়ে দিয়েছেন জেমস জোশেফ। তাঁর কথায়, করোনাভাইরাসে মুরগির মাংসে লোকের ভয় পাচ্ছেন। তাই কাঁঠাল আর কাঁঠালের বিচির চাহিদা তুঙ্গে। 
মহামারীর আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল মাংসহীন সোমবারের আমিষ বিকল্পের চল। চিকেন, বিফ, পর্কের বদলে প্রাকৃতিক ফলমূলের ওপর জোর দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরাও। একইসঙ্গে সয়াবিনের দিকেও ঝুঁকছেন তাঁরা। তারই জেরে কেরলে বাড়ছে কাঁঠালের চাষ। ডায়াবিটিস রোগীদের কাছে ভাত-রুটির থেকেও তা পুষ্টিকর। রবার চাষ ছেড়ে অনেকেই শুরু করে দিয়েছেন এদেশে ব্রাত্য কাঁঠালের চাষ। শুধু কেরল আর তামিলনাডুতেই প্রতিদিন রয়েছে ১০০ মেট্রিক টন কাঁঠালের চাহিদা। তাতে বছরে কোটি ৯৮ লাখ ডলারের ব্যবসা হচ্ছে। তবে বাজারে কাঁঠালের প্রবল প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ তাইল্যান্ড। 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post