ঘূর্ণিঝড় আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঢুকতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এবার একই জেলায় ত্রাণ নিয়ে যেতে গিয়ে পুলিশের বাধা থমকে গেলেন বিজেপির আরেক সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ক্যানিং এলাকায় যাচ্ছিলেন বলেই দাবি করেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বারুইপুর রোডেই তাঁরা রাস্তা আটকায় বিশাল পুলিশবাহিনী। প্রায় একশোর বেশি পুলিশকর্মী এদিন আগে থেকেই বারুইপুর কুলপি রোডের পদ্মা মোড়ে ব্যারিকেড করে। নেতৃত্বে ছিলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু। ছিল প্রচুর মহিলা পুলিশও। প্রায় একঘন্টার বেশি তিনি আটকে থাকেন সেখানে। এরপর রাস্তায় ওপরই বসে পড়েন বিজেপি সাসংদ। প্রায় একঘন্টা অবস্থান বিক্ষোভ করার পরও পুলিশ তাঁকে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই হুগলির বিজেপি সাংসদ কলকাতা ফিরে আসেন। পুলিশের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদ সুন্দরবন এলাকায় গেলে লকডাউন ভাঙা হবে। কিন্তু লকেটকে বাধা দিতে গিয়ে ওই এলাকায় লকডাউনই শিকেয় উঠেছিল।
এদিন অবস্থান চলাকালীন লকেট বলেন, তৃণমূল সরকার ত্রাণ নিয়েও রাজনীতি করছে। মুখ্যমন্ত্রী মুখে বলেন বিরোধীরা সবকিছুতেই রাজনীতি করে। কিন্তু আসলে কারা রাজনীতি করছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। আমফানে বিপর্যস্ত মানুষদের জন্যই ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলাম। সেটাও আটকে দিচ্ছে পুলিশ? কেন আটকানো হচ্ছে সেটাও বলতে পারছেন না পুলিশকর্তারা। লকেট আরও জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি জানিয়ে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেব। অপরদিকে, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কনভয় আটকে দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হতেই বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির বারুইপুর কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসের সামনেই রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। বারুইপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে অবরোধ তোলার চেষ্টা করে। এরপরই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় পুলিশের। পরে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে অবরোধ তুলে নেয় বিজেপি কর্মীরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback