করোনায় বিপর্যস্ত আমেদাবাদে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় টিম



এক আমেদাবাদেই করোনায় মারা গিয়েছেন ৩৫০ জনেরও বেশি। মৃতের নিরিখে এখন এই শহর মুম্বইয়ের পরেই। কেন আমেদাবাদে করোনার প্রকোপ কমছে না, তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। তড়িঘড়ি সেখানে পাঠানো হয়েছে এইমসের ডিরেক্টর রঞ্জিত গুলেরিয়াকে। যাচ্ছে বিশেয কেন্দ্রীয় টিমও। এখন আমেদাবাদে ওষুধের দোকান ছাড়া সবই বন্ধ। পুরানো আমেদাবাদকে তুলে দেওয়া হয়েছে আধা সামরিক বাহিনীর হাতে।
গুজরাতের রাজধানীতে প্রথম সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল ২৫ মার্চ। ৪৫ দিনে তা বেড়ে হয়েছে সাড়ে তিনশোরও বেশি। মোট আক্রান্ত ৭,৮০০। গোটা গুজরাতে মারা গিয়েছেন ৪৭৫ জন। কয়েকদিন আগেও এই শহরে লকডাউনের বালাই ছিল না। ছিল না সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কে কোনও সচেতনতা। শহরের ৭০ লাখ মানুষ করোনাকে গুরুত্বই দেননি। যথেচ্ছ চলেছে গাড়ি, বাজারে উপচে পড়েছে লোক। পুরানো শহরে লোক ঢোকা বন্ধ করলেও তা কোনও কাজে দেয়নি। বিএসএফ ও র‌্যাফ নামালেও কেউই তা মানেননি।শুক্রবার সকালে ঘোষণা করা হয়, আমেদাবাদ সাতদিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। তারপরই জনস্রোত দেখা দেয় বাজারে বাজারে। লোকে ইচ্ছেমতো শহর ছেড়ে অন্যত্র যাচ্ছে। আমেদাবাদ থেকে সংক্রমণ নিয়ে বনসকান্থা জেলার তিন গ্রামে তা ছড়িয়েছে। এর আগে মারা গিয়েছেন কংগ্রেসের নেতা বদরুদ্দিন শেখ। আক্রান্ত বহু পুলিশকর্মীও। শহরের এক প্রান্তে সংক্রমণ ছড়াতে থাকলেও সবরমতির তীরে পশ্চিমদিকে জীবনযাত্রা ছিল স্বাভাবিক। করোনা আক্রান্তরা কোয়ারেন্টাইনে রীতিমতো ক্রিকেট খেলেছে। অনেকের মতে, সামনে পুরভোট বলেই কেউই নাগরিকদের চটাতে চায়নি। সক্রিয়ভাবে কিছু ত্রাণ বিলি ছাড়া ৪৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা পথেই নামেননি।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post