পুষ্টিযুক্ত খাবার মানেই দামি খাবার নয়। অল্প খরচেও খাবারে পরিমিত শর্করা, প্রোটিন, চর্বি ও তেল, ভিটামিন, খনিজ লবণ যোগ করা যায়। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি খাদ্য উপাদানের নিয়মিত ও পরিমিত উপস্থিতিই খাবারকে পুষ্টিযুক্ত করে তোলার প্রধান শর্ত।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নুরুন নাহার দিলরুবা জানাচ্ছেন, আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষের শর্করার প্রধান উৎস ভাত। প্রোটিন হিসেবে মাছ-মাংস প্রতিদিনের পাতে না উঠলেও সমস্যা নেই। ডাল, ছোলা, বাদাম, শিমের বিচি, সয়াবিন ইত্যাদি উদ্ভিজ্জ উৎসও দিতে পারে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগান। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব কটি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড ডিম ছাড়া অন্য কোনও খাবারে এককভাবে পাওয়া যায় না। তাই প্রতিদিন একটা ডিম খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। না হলে ভাতের সঙ্গে ডাল মিশিয়ে অ্যামাইনো অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। চাল, রুটি, যব ইত্যাদি শস্যদানাতেও প্রোটিন রয়েছে। চালে যে অ্যামিনে অ্যাসিড সীমিত পরিমাণে থাকে, ডালে তা পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে। আবার ডালে যে অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিমাণ কম, চালে তা যথেষ্ট।
সজনে, মুলো, ধনেপাতা, পালংশাক, লাউশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, কলমিশাক, লালশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, আঁশ ইত্যাদি। আমলকি, পেয়ারা, লেবু, বাতাবি লেবু, আমড়া, জাম, কামরাঙা, আনারস, লিচু, তরমুজ, পাকা কলা, কাঁঠাল, আমে ও কাঁচা লঙ্কা, উচ্ছে, করলা, ফুলকপি, ওলকপি, সজনে, টমেটো, ক্যাপসিকাম, মিষ্টি কুমড়ো, পেঁয়াজকলি, কলার মোচা, শালগম, বিট, কাঁচা কাঁঠাল, ঢ্যাঁড়স, পটোল, আলু ভিটামিন সি-এর চমৎকার উৎস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার এই সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দৈনিক অন্তত দুই কাপ ফল এবং আড়াই কাপ সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback