অরুণাচল ও মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টি, বন্যা অসমে


অসমের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। একটানা পাঁচদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে অসম সহ অরুণাচলপ্রদেশ ও মেঘালয়ে। ফলে অসমের পাঁচ জেলায় বন্যা হয়ে গেছে। বন্যার কবলে সরাসরি ৩০ হাজার মানুষ। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বেড়ে চিন্তা বাড়িয়েছে অসম প্রশাসনের। লখিমপুর, ধেমানজি, ডিব্রুগড়, দরং এবং গোয়ালপাড়া জেলার আটটি রাজস্ব সার্কেলের ১২৮টি জেলা বন্যার কবলে রয়েছে। সবথেকে বেশি খারাপ অবস্থা গোয়ালপাড়া জেলায়। সেখানের ৩৩টি ত্রাণ শিবির খেলা হয়েছে। প্রায় ৯,০০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবির গুলিতে। বিস্তীর্ণ এলাকার চাষের জমি জলে তলায়। শুধুমাত্র শুধু লখিমপুর এবং ধেমানজি জেলায় ৫৭৯ হেক্টর জমির শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১২,০০০ গবাদি পশু এবং পোলট্রি বন্যার কবলে পড়েছে। দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়ে পাঁচদিন ধরে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী তিনদিনও একইভাবে বৃষ্টি হবে বলেই পূর্বাভাস রয়েছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বঙ্গোপোসাগর থেকে ওই অঞ্চলে আসছে, খুব সহজে বৃষ্টি থামবে না, বলে জানিয়েছেন জাতীয় আবহওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রধান কে সাথী দেবী। জাতীয় জল কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমে ব্রহ্মপুত্র-সহ একাধিক শাখা নদীর জলস্তর বেড়েছে। প্রতি দু'তিন ঘণ্টায় জলস্তর ১ থেকে ২ সেন্টিমিটার বাড়ছে। ব্রক্ষপুত্রের শাখানদী জিয়া ভারালি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কামরূপে পুথিমারি নদীও লাল সীমানার উপর দিয়ে বইছে। ফলে আগামীদিনে বন্যা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে বলেই মনে করছে অসম প্রশাসন।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post