ত্রাণের আশায় সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা

 
কোমর ভেঙে দিল আমফান। করোনার ধাক্কা তাদের নড়বড়ে অবস্থার পর এবার আমফান কেড়ে নিল পায়ের তলার মাটিও। আয়লার পর থেকে একের পর এক দুর্যোগে বঞ্চিত ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার। বিশেষ করে মৎস্যজীবী পরিবার। লায়লা, হুদহুদ, ফণী, বুলবুলের মতো বহু ঘূর্ণিঝড় দেখেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের মানুষ। বুলবুলের দুঃস্বপ্ন আজও দগদগে তাদের স্মৃতিতে। ক্ষতিপূরণ থেকে সরকারি সহযোগিতায় আজও বঞ্চিত অনেকে। কাকদ্বীপ হারবার থেকে ডায়মন্ড হারবার, বকখালি, নামখানা ,পাথরপ্রতিমা, সাগরদ্বীপ, রায়দিঘিতে মৎস্যজীবীদের পরিবারের অবস্থা সঙ্কটজনক। সব হারিয়ে কোনওক্রমে কাকদ্বীপ মৎস্যজীবীরা আজ রয়েছেন কাকদ্বীপ ফিশারমেন্স ইউনিয়ন ঘরে। অনেকে পরিবার পরিজনদের বাড়িতে রয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমাশাসক কার্যালয়ে রবিবার প্রশাসনিক বৈঠকে পর মুখ্যমন্ত্রী সবরকমের সুবিধার ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন মৎস্যজীবীদের। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপুরণের আশ্বাস দিলেও কতটা নিরপেক্ষভাবে সেই ত্রাণবিলি হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁদের। কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর থেকে জেলেপাড়া, বকখালি থেকে নামখানা সন্দেহ সর্বত্র।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post