
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের পর সাতদিন পেড়িয়ে গেছে। এখনও বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু এলাকা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সুন্দরবন এলাকায়। সাতদিন পরও সুন্দরবন ও লাগোয়া বহু এলাকায় ফেরেনি বিদ্যুৎ। নেই পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থাই। এরমধ্যেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন সুন্দরবনবাসী। কিন্তু সবচেয়ে করুণ অবস্থা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সব হারিয়ে অনেকেই এখন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। প্রবল ঝড় ও জলচ্ছ্বাসে ভেঙেছে নদীবাঁধ। আর সেই বাঁধভাঙা জলে ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি, সেই সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিকের বইখাতা ও অ্যাডমিট কার্ড। তাই ত্রাণশিবিরে বসে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথাই চিন্তা করছে পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। শুধু সুন্দরবন নয়, একই পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ এলাকার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরও। ঝড়ের দাপটে নদীবাঁধ ভাঙায় ভেসে গিয়েছে বইখাতা, অ্যাডমিট কার্ড। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের জন্য উচ্চমাধ্যমিকের তিনটি পরীক্ষা এখনও বাকি। রাজ্যের শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, আগামী জুনেই শেষ দিকে এই তিনটি পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফলে অ্যাডমিট কার্ড হারিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, প্রশাসন এই দিকটা ভাবুক। প্রয়োজনে অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই যেন তাঁরা পরীক্ষা দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করুক রাজ্য।
Post a Comment
Thank You for your important feedback