শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘হস্তক্ষেপ’ চাইলেন মমতা


বাংলায় চিন্তা বাড়াচ্ছে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকরা। চিন্তায় নবান্ন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ইতিমধ্যেই ৪,০০০ ছাড়িয়েছে। এর ওপর হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক এই রাজ্যে ঢুকলে কীভাবে সামাল দেওয়া হবে এই নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক জেলাশাসকদের একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই টাস্কফোর্সই বাংলায় ফেরা পরিযায়ীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী রেলমন্ত্রকের ওপর নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, কোনওরকম আগাম তথ্য ছাড়াই বাংলায় ৩৬টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন পাঠিয়েছে রেল। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, বুধবার রাতের মধ্যেই বাংলায় ১১টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ঢুকবে। আর আগামীকাল আরও ১৭টি ট্রেন চলে আসবে। সবমিলিয়ে প্রায় ২০ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক আসছে ভিনরাজ্য থেকে। মুখ্যমন্ত্রী এটাকে রেলের দায়িত্বজ্ঞানহীন ভূমিকা বলে উল্লেখ করেছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে। তাঁর কথায়, ‘আমার সঙ্গে রাজনীতি করতে গিয়ে ওরা বাংলার ক্ষতি কেন করে?’ বিষয়টি নিয়ে 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে হস্তক্ষেপের' অনুরোধও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রেলকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রেল কোনও দায়িত্বই নিচ্ছে না’। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৫ লাখ মানুষ এসেছেন, আরও আসছেন। তাই করোনা নিয়ে বিশেষ সতর্কতায় পাঁচ রাজ্য থেকে লোক এলে ইনস্টিটিউশন কোয়রান্টিন করার চিন্তাভাবনা করছে নবান্ন।
অপরদিকে আমফান বিধ্বস্ত এলাকার উদ্ধারকার্য নিয়েও এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য প্রশাসন জোরকদমে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। দিন-রাত এক করেই কাজ করছেন সরকারি কর্মীরা। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, পুরোপুরি জল না সরলে সেই এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি বসানো যাবে না। তাই সব এলাকায় এখনই বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে তাঁর দাবি, রাজ্যের ৯০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ এসে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আমফান সুন্দরবনের সর্বনাশ করে গিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আরও সময় লাগবে। উদ্ধারকাজে গিয়ে হাওড়ায় এক দমকলকর্মীর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, ঘটনার তদন্ত হবে। তবে মৃত ওই দমকলকর্মীর পরিবারের একজনকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেন তিনি।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post