
দেশজুড়ে লকডাউনের তৃতীয় দফা চলছে। এরমধ্যেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার থেকেই নয়াদিল্লি থেকে ১৫টি রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরু করতে চলেছে রেল মন্ত্রক। সোমবার থেকেই অনলাইনে টিকিট বুকিং শুরু করে দেবে রেলের সহযোগী সংস্থা আইআরসিটিসি। রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, এই বিশেষ ট্রেনগুলির টিকিট শুধুমাত্র আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট ও অ্যাপ থেকেই কাটা যাবে। কোনও বুকিং কাউন্টার এখনই খোলা হবেনা। রেলমন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ১২ মে থেকে দিল্লি থেকে হাওড়া, ডিব্রুগড়, আগরতলা, পাটনা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকেন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, তিরুঅনন্তপুরম, মডগাঁও, মুম্বই সেন্ট্রাল, আমদাবাদ ও জম্মু-তাওয়াইয়ের মধ্যে ট্রেন চলাচল করবে। পথের মধ্যে ট্রেনগুলি সীমিত কয়েকটি স্টেশনেই দাঁড়াবে। রেল জানিয়ে দিয়েছে, এই ট্রেনগুলিতে সাধারণ স্লিপার কামরা থাকবে না।

এই ১৫ জোড়া ট্রেনের পুরোটাই এসি কোচ এবং ভাড়া রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনের সমতুল হবে। ট্রেনগুলিতে এসি প্রথম শ্রেণী, এসি-টু টায়ার, ও থ্রি টায়ার থাকবে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কামরায় যাত্রী সংখ্যার পরিবর্তন হবে না। কিন্তু এসি-থ্রি টায়ারে মাঝের বার্থ ফাঁকা রাখা হবে। যাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকে। সূত্রের খবর, এই ট্রেনগুলিতে যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ কম্বল ও চাদর নাও দেওয়া হতে পারে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে। তবে এক্ষেত্রে ট্রেনের ভিতরের তাপমাত্রা কিছুটা বেশি রাখা হবে।

রেলমন্ত্রকের দাবি, বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের তাঁদের কথা মাথায় রেখেই ট্রেন পরিষেবা শুরু করা হল। লকডাউনে অনেকেই ভিনরাজ্যে এসে আটকে পড়েছিলেন। রেলের এক শীর্ষকর্তার কথায়, ‘এই পরিষেবা তাঁদের জন্য, যাঁদের কাজে ফিরতে হবে এবং লকডাউনের শুরু থেকে আটকে আছেন। তাঁদের যাতায়াত নিশ্চিত করা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে এবং ধাপে ধাপে আরও ট্রেন চালু হবে। পরবর্তী সময়ে নিয়মিতভাবে পরিষেবা শুরু হবে’। তবে এই ১৫ জোড়া ট্রেনের বাইরে রেল কর্তৃপক্ষ গোটা দেশে প্রায় ৩০০টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনও চালাবে। শ্রমিকদের জন্য ও করোনা কেন্দ্রের জন্য রেলমন্ত্রক ২০ হাজার কোচ বরাদ্দ করেছে। এরপর যত কোচ থাকবে, সেগুলি দিয়েই ধাপে ধাপে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনা করছে রেল মন্ত্রক।
Post a Comment
Thank You for your important feedback