
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান চলে যাওয়ার পর রেখে গিয়েছে ক্ষতচিহ্ন। ঘটনার পর ছয়দিন পেড়িয়ে গেলেও এখনও রাজ্যের অনেক জায়গায় আসেনি বিদ্যুৎ। পানীয় জলের জন্য হাহাকার চলছে দিকে দিকে। এই পরিস্থিতিতে ফের ঝড়ের পূর্বাভাস দিল আলিপুর হাওয়া অফিস। তবে এবার ঘূর্ণিঝড় নয়, বাংলার অতি পরিচিত ‘কালবৈশাখী’ ঝড়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গে থেকে থেকে দমকা হাওয়া বইছে। হাওয়ার গতিবেগ ভালোই। আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় কালবৈশাখীর সম্ভবনা রয়েছে। জোরালো দখিনা-পশ্চিমি বাতাসের দাপটে রবিবার থেকেই বৃষ্টি চলছে উত্তরের জেলাগুলিতে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হয়েছে। সোমবার বীরভূম ও মালদা জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে, ঝড়ের দাপটে মালদা জেলায় আমের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সোমবারের ঝড়ে মালদায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের। অনেক গ্রামেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার থেকে আরও কিছু জায়গায় কালবৈশাখীর অনুকূল পরিস্থিতি অনুকূল হবে। বুধবার নাগাদ দক্ষিণবঙ্গের কাছে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বা ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হতে পারে। তাতেই বাড়বে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা। তবে এখনই প্রবল গরম পড়ার আশঙ্কা কম। মঙ্গলবার কলকাতার তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহবিদদের দাবি, ধীরে ধীরে বর্ষার দিকেই এগোচ্ছে পরিস্থিতি। তাই বায়ুমণ্ডলে পরিবর্তন আসছে। উল্লেখ্য, আমফান পরবর্তী সময়ে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। দক্ষিণবঙ্গে এবার কালবৈশাখীর পূর্বাভাস নতুন করে চিন্তায় ফেলছে রাজ্যবাসীকে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback