নদিয়ার নবদ্বীপের চর ব্রহ্মনগর গ্রাম। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই গ্রামেরই ১৮ বাসিন্দা মহারাষ্ট্র থেকে ফেরেন। অভিযোগ, করোনা সংক্রমণের ভয়ে তাঁদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় গ্রামবাসী। এমনকী, তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাথরও ছোঁড়েন আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, মহারাষ্ট্র থেকে ফেরা ওই শ্রমিকদের গ্রামে ঢুকতে দিলেই এখানে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। তাই তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত্রে মহারাষ্ট্র থেকে একটি বাসে করে ১৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরেছিলেন। জেলা সদর কৃষ্ণনগরে তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে জেলা স্বাস্থ্যদফতরের কর্মীরা। এরপরই তাঁদের চর ব্রহ্মনগর গ্রামে যাওয়ার অনুমতি দেয় প্রশাসন। কিন্তু গ্রামে ঢোকার মুখেই বাধা পান তাঁরা। দূর থেকেই তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে গ্রামবাসীরা। আক্রমণের সামনে পড়ে পিছু হটেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকের দলটি। কোনওরকমে বাঁধের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে স্থানীয় এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে গিয়ে আশ্রয় নেন। এরপরই ওই শ্রমিকদের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে বচসা বাধে গ্রামবাসীদের। এমনকী তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের কাছে তাঁদের যাবতীয় তথ্য থাকলেও শ্রমিকদের বাঁচাতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি পুলিশ। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নবদ্বীপ থানার পুলিশ ও স্থানীয় বিডিও এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগে দায়ের করেন। স্থানীয় প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback